ন্যাভিগেশন মেনু

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে যন্ত্রাংশ ক্রয়ে অনিয়ম খুঁজতে অভিযান চালায় দুদক


বাজারে প্রতিটি এলইডি বাতির দাম সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা হলেও রেলওয়ে কিনেছে ২৭ হাজার টাকায় কেনা হয়। এসব কিনতে রেলওয়ে প্রচুর টাকা ব্যয় দেখানো হয়। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে যন্ত্রাংশ ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগে বৃহস্পতিবার অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরপর দুদক টিম রেলওয়ে অফিসের বিভিন্ন দফতরে গিয়ে যন্ত্রাংশ ক্রয়ে অনিয়ম নিয়ে অনুসন্ধান করেন।

জানা গেছে, দুদক টিম ট্র্যাক সাপ্লাই কর্মকর্তা কার্যালয় থেকে লিফটিং জ্যাক, ড্রিলিং মেশিন, কাটিং জ্যাক ক্রয় সংক্রান্ত ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে। এই পণ্যগুলোর প্রাক্কলিত দর ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। কিন্তু পণ্যগুলো ১ কোটি ৯৭ লাখ টাকার অধিক ব্যয়ে কেনা হয়। যা পিপিপি এবং পিপিআরের সুস্পষ্ট লংঘন। এসব যন্ত্রাংশ কিনকে ঠিকাদারের সাথে যোগসাজশে একই ঠিকানায় নিবন্ধিত দুইটি প্রতিষ্ঠানকে দরপত্রে অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে, এতে একটিকে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। যা প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়।

এছাড়া বাজারমূল্য নির্ধারণ কমিটি কীসের উপর ভিত্তি করে এসব পণ্যের বাজারমূল্য নির্ধারণ করেছে, এসব সংক্রান্ত কোনো ডকুমেন্টস পায়নি দুদক। এরপর দুদক টিম বৈদ্যুতিক প্রকোশলীর কার্যালয় থেকে ৯০টি এলইডি লাইট এবং এলইডি ল্যাম্প কেনার তথ্য সংগ্রহ করে। সেগুলোর ক্রয় সংক্রান্ত ডকুমেন্টস সংগ্রহ করার জন্য জন্য সিওএস এর দপ্তরে যায়। ডকুমেন্টস সংগ্রহ পর্যালোচনা করে দুদক টিম দেখে, প্রতিটি এলইডি লাইট ২৭ হাজার ৭০০ টাকায় ক্রয় করা হয়েছে। যা অসংগতিপূর্ণ বলছে দুদক। একই টিম পরে পাহাড়তলীতে অবস্থিত রেলের প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ও জেলা সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে অভিযান চালায়। সেখানে অবস্থিত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট আরএ্যাণ্ডআই এর মেরামতকৃত কক্ষ পরিদর্শন করেন। ওয়াকিটকি ক্রয় সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করা হয়। পর্যালোচনায় প্রাথমিকভাবে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়।
 
অভিযানে যেসব প্রাথমিক সত্যতা পায় এবং এসব পর্যালোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নিবে জানায় দুদক টিম।