ন্যাভিগেশন মেনু

'বুদ্ধিজীবীরা বাঙালী জাতির সূর্য সন্তান'

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় চবি উপাচার্য


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলকে সাথে নিয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ করে দেশ-জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার ও মাননীয় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে। পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে চবি উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) নেতৃত্বে শোক র‌্যালি চবি শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ চত্বর থেকে শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধু চত্বরে এসে শেষ হয়। 
 
বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলকে সাথে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে। আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ চ.বি. বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর ড. মুনতাসীর মামুন। চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চবি প্রক্টর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নূরুল আজিম সিকদার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চবি এস্টেট শাখার প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম।

চবি উপাচার্য বলেন, বুদ্ধিজীবীরা বাঙালী জাতির সূর্য সন্তান। এ জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁদের অবদান চিরস্মরণীয়। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে পাক হানাদার বাহিনী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদেরকে বেছে বেছে নির্মমভাবে হত্যা করে স্বাধীনতা সংগ্রামকে চিরতরে রুখে দিতে চেয়েছিল এবং বাঙালি জাতিকে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে চিরতরে পঙ্গু করে দিতে চেয়েছিল; কিন্ত তাতে তারা সফল হয়নি। স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী অতিবাহিত হয়েছে, দেশের বুদ্ধিজীবীদের ত্যাগ-তিতিক্ষার কথা এ জাতি আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে এবং ভবিষ্যতেও স্মরণ রাখবে”। 

অনুষ্ঠানমালায় চবি সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, অনুষদের ডিনবৃন্দ, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, রেজিস্ট্রার, কলেজ পরিদর্শক, হলের প্রভোস্ট ও আবাসিক শিক্ষকবৃন্দ, বিভাগীয় সভাপতি, ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, অফিস প্রধানবৃন্দ, অফিসারবৃন্দ, বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতৃবৃন্দ, চবি অফিসার সমিতির নেতৃবৃন্দ, কর্মচারী সমিতি ও কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ, চবি সাংবাদিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, শিক্ষার্থীবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষ্যে কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয় এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। এছাড়া শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে কালো ব্যাজ ধারণ করা হয়।