সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় মাদ্রাসা শিক্ষক কর্তৃক ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হলে অভিযুক্ত শিক্ষক মোঃ আবু রায়হানকে (২৪) আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শুক্রবার (২৭ আগস্ট) ভোরে র্যাব-১২-এর স্পেশাল কোম্পানির সহকারী পুলিশ সুপার মি. জন রানার নেতৃত্বে র্যাব-১২ বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্য এবং আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে আসামি আবু রায়হানকে ঢাকার বাড্ডা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মোঃ আবু রায়হান সলঙ্গা থানার খোলাপাড়া গ্রামের মোঃ হাসেন আলীর ছেলে।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। মোঃ আবু রায়হানকে সলঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে র্যাব-১২-এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, সলঙ্গা থানার নলছিয়া গ্রামের মাসুদ রানা তার ছেলে অলিউল্লাহকে দ্বীনি শিক্ষার জন্য পার্শ্ববর্তী কুমাজপুর দারুল আবরার কওমি হাফিজিয়া মাদরাসায় ভর্তি করেন। শিক্ষার্থী অলিউল্লাহ মাদরাসায় আবাসিকে থেকে গত এক বছর যাবত পড়া লেখা করে আসছিল।
গত ১১ আগস্ট রাতে ওই মাদরাসার শিক্ষক আবু রায়হান শিক্ষার্থী অলিউল্লাহকে তার কাছে ডেকে নিয়ে ইচ্ছার বিরদ্ধে বলাৎকার করে। বলাৎকারের বিষয়টি প্রকাশ করলে শিক্ষক তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ছাত্রটিকে সে বলাৎকার করে। এ ঘটনার কয়েকদিন পর আবারও সে কু-প্রস্তাব দেয়, এতে অলিউল্লাহ রাজি না হলে, পরদিন সকালে তাকে মারধর করে।
মারধরের ঘটনার পর শিক্ষার্থী অলিউল্লাহ ছুটি চায়। কিন্তু ওই শিক্ষক ছুটি না দিলে, শিক্ষার্থী অলিউল্লাহ গোপনে ১৯ আগস্ট নিজ বাড়ি চলে যায়। বাড়ি গিয়ে তার পরিবারের কাছে শিক্ষক আবু রায়হানের কু-কর্মের কথা খুলে বলেন।
এ ঘটনা জানার পর শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির কাছে বিষয়টি জানালে কমিটির লোকজন বিচারের আশ্বাস দেয়। তবে আসামি আবু রায়হান আত্মগোপন করায় তা আর সম্ভব হয়নি। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে এবং স্থানীয় জনগণের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
পরবর্তীতে শিক্ষার্থী অলিউল্লাহর পরিবার সলঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করে এবং র্যাব-১২-এর কাছে আসামিকে গ্রেপ্তারের আকুতি জানায়।
এমএসএম/এমআইআর/এডিবি/