ন্যাভিগেশন মেনু

সাবেক আইনমন্ত্রী আব্দুল মতিন খসরু আর নেই


সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।

বুধবার (১৪ এপ্রিল) বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত সহকারী অ্যাডভোকেট মো. মহিন।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কুমিল্লা-৫ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল মতিন খসরু গত ১৫ মার্চ সংসদ সচিবালয়ে করোনা পরীক্ষার নমুনা দেন। ১৬ মার্চ সকালে তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ওইদিনই তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে ২৮ মার্চ রাতে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। পরে ১ এপ্রিল করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ আসে। গত ৩ এপ্রিল অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরুকে সিএমএইচের আইসিইউ থেকে সাধারণ কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। পের ৬ এপ্রিল সকালে হার্টঅ্যাটাক হলে হলে পুনরায় তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ও সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (১৪ এপ্রিল) এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এছাড়া, অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু মৃত্যুতে‌ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। 

আব্দুল মতিন খসরু ১৯৫০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মিরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মো. আবদুল মালেক এবং মাতা জাহানারা বেগম। তারা চার ভাই, এক বোন। আব্দুল মতিন খসরু ব্যক্তিজীবনে এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।

আব্দুল মতিন খসরু ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৬-২০০১ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯৬ সালে সংবিধান ও মানবতাবিরোধী কালো আইন ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচারের ব্যবস্থা করেন তিনি। পরবর্তীকালে সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারবর্গের আত্মস্বীকৃত খুনীদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়। 

২০১২ সালে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বার কাউন্সিল নির্বাচনে তিনি সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন এবং ২০১৫ সালে পুনরায় বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।

কুমিল্লা-৫ আসন থেকে তিনি ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু গত ১৩ মার্চ বিপুল ভোটে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন।

এডিবি/