ন্যাভিগেশন মেনু

হেফাজতকে শক্তিশালী করতে আনাসের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধের ডাক


হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশকে শক্তিশালী করতে আনাসের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধের ডাক দিয়েছেন তার অনুসারীরা। এছাড়া প্রয়াত আমির শাহ আহমদ শফীর ছোট ছেলে আনাস মাদানীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হেফাজতের ডাক দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহ.)-এর জীবন, কর্ম, অবদান ও চলমান সংকট নিরসনে উলাময়ে কেরামের করণীয়’ বিষয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সাভার মাদ্রাসার মুফতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আনাস মাদানীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে হেফাজতকে সংঘবদ্ধ করতে হবে। আমরা যদি তাকে সামনে রেখে এগিয়ে যাই, তাহলে শফী হজুরের খুনিদের বিচার এই বাংলার মাটিতে হবেই।’

এ অনুষ্ঠানে আনাস ও তার বড় ভাই ইউসুফ মাদানী উপস্থিত ছিলেন। তারা হেফাজতের আরেকটি শাখা খুলবেন কি না, সে বিষয়ে কিছু জানাননি। তবে আলেমদের ঐক্যবন্ধের ওপর জোর দিয়েছেন।

মুফতি হেলাল বলেন, উলামায়ে কেরামের অনৈক্যের সুযোগে সুবিধাবাদী কিছু নাস্তিক-মুরতাদ সরকারকে ভুল বুঝিয়ে ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডে প্রলুব্ধ করে দেশের শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তাই আলেমদের ঐক্য গড়তে হবে। বর্তমান সময়ে আমাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা অনৈক্য।

মাওলানা আনাস মাদানী বলেন, আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে বহু অভিধায় অভিহিত করা গেলেও সব কিছু ছাপিয়ে তার সবচেয়ে বড় পরিচয়— তিনি সাদা মনের বিশাল হৃদয়ের এক মহানুভব ব্যক্তিত্ব ছিলেন। ছিলেন উম্মাহর কল্যাণকামী।

জনসাধারণের উদ্দেশ্যে তিনি যেমন বয়ান করেছেন, তেমনি আলেম সমাজকেও নসিহত করেছেন খোলামন নিয়ে। তার মিশন ছিল— আলেমরা শুধু বস্তুগত ও জাগতিক দৃষ্টি লালন করবেন না, বরং তারা আধ্যাত্মিকভাবে এগিয়ে যাবেন। তিনি আলেমদের জাগাতে চেয়েছেন শেকড় থেকে। তিনি বলতেন, আলেমগণ এক হয়ে গেলে দেশে আর কোনো সমস্যা থাকবে না।

মাওলানা আনাস বলেন, ২০১৩ সালে হেফাজতের ঘটনা এবং পরবর্তী সময়ে হজরতের আচরণগুলো তার প্রমাণ। তিনি সরকারের সঙ্গে শত্রুতাও দেখাননি এবং তাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন উপদেশ দিতেও কসুর করেননি। অনেকবার সরকারকে তিনি সতর্কও করেছেন। ফলে এই মধ্যমপন্থায় থাকার কারণে তিনি সরকার থেকে অনেক দাবি আদায় করতে পেরেছেন। কওমি স্বীকৃতি তার মধ্যে অন্যতম।

তিনি আরও বলেন, কওমি মাদ্রাসায় যে আশঙ্কাজনক এবং ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি বর্তমানে বিরাজমান, এ সম্পর্কে আব্বাজান (রহ.) আগেই সতর্ক করেছিলেন। তিনি এ সমস্যা থেকে উত্তরণের পদ্ধতিও বাতলে দিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, নানা পর্যায় থেকে কওমি মাদ্রাসার বিরুদ্ধে এবং আলেমদের আদর্শচ্যুত করার বহুবিধ ষড়যন্ত্র চলতেই থাকবে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মাওলানা লিয়াকত আলী। উপস্থিত ছিলেন মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা রুহুল আমিন উজানভী, মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈফী, মাওলানা মাঈনুদ্দীন রুহী, মাওলানা শেখ মুজিবুর রহমান, মাওলানা গোলাম মুহীউদ্দীন ইকরাম, মাওলানা আব্দুল আউয়াল কাউসারী, আব্দুল মালেক চৌধুরী, মাওলানা রেজাউল করীম যশোরী, মাওলানা ফয়েজ আহমদ প্রমুখ।

এস এস