চাঁদপুরে ২৪ হাজার ৩শ ৬৩টি বই নিয়ে অত্যাধুনিক ও নান্দনিক সরকারি জেলা গণগ্রন্থগারের যাত্রা শুরু হয়েছে। সাড়ে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলা গণগ্রন্থগার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
চাঁদপুর-হাইমচর আসনের এমপি ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর এর উদ্বোধন করেন।
চাঁদপুর গণপূর্ত বিভাগ এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে। তিনতলা বিশিষ্ট এই সরকারি গণগ্রন্থাগারটি আধুনিক সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা থাকবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে এটি ৬ তলা ভবন করা হবে।
সপ্তাহে ৫ দিন শনিবার থেকে বুধবার সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত সকলের জন্য উম্মুক্ত থাকে এই গণগ্রন্থাগার। এখানে জাতীয় পত্রিকার মধ্যে রয়েছে দৈনিক যুগান্তর, প্রথম আলো, সমকাল, জনকণ্ঠ, ইত্তেফাক, ইনকিলাব, সংবাদ ও নয়াদিগন্ত। ইংরেজি পত্রিকার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ পোস্ট ও ডেইলি স্টার। চাঁদপুরের আঞ্চলিক পত্রিকার মধ্যে রয়েছে চাঁদপুর কন্ঠ। সাপ্তাহিক পত্রিকা গুলোর মধ্যে রয়েছে রবিবার, মাসিক কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স ও ক্রীড়াজগত।
গ্রন্থাগারে সাধারণভাবে ১০০ জন বসে পাঠ্যাভ্যাস ও মিলনায়তনে ১৫০ জন বসার ব্যবস্থা রয়েছে। এটি সেমিনারের জন্য ব্যবহার করা যাবে। সাহিত্যানুষ্ঠান করার ব্যবস্থা রয়েছে তবে করোনার কারণে এখনও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা আসেনি।
তাছাড়া অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার মধ্যে রয়েছে - সাধারণ গ্রন্থগার, অনার্স-মাস্টারর্স শিক্ষার্থীদের জন্যে ই-গ্রন্থগার, ই-গ্রন্থগারের জন্যে পর্যাপ্ত ল্যাপটপ ও আসবাবপত্র, শিশুদের পড়ার সু-ব্যবস্থা, প্রতিবন্ধীদের র্যামওয়ে, ৩ শ’ আসন বিশিষ্ট অডিটরিয়াম ও মঞ্চ, ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি ও ফ্রি-ইন্টারনেট ব্যবহারের ব্যবস্থা, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, প্রয়োজনীয়সংখ্যক বই ও বিভিন্ন প্রকার সাময়িকী ও জার্ণাল ইত্যাদি।
গ্রন্থাগারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারি লাইব্রেরিয়ান উম্মে রায়হান ফেরদাউস বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বলেন, ‘এর কাজ কর্মশুরু হয় জুলাই ২০১৯ থেকে। চাঁদপুর গণপুর্ত বিভাগ ১৩ সেপ্টেম্বর আমাদের নিকট আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর করে। করোনা পরিস্থিতিতে বিগত কয়েকমাস পর আবার এর কার্যক্রম শুরু হলো।‘
এমআইআর/এডিবি