ন্যাভিগেশন মেনু

‘সিরাজগঞ্জের সৌন্দর্য্য বর্ধন কদম ফোয়ারা দ্রুতই অবমুক্ত’


নির্বাচনী প্রচারনার নামে অযাচিত ফেস্টুন, ব্যানার, সাইনবোর্ড লাগানোয় দিন দিন মরণ ফাদে পরিনত হচ্ছে সিরাজগঞ্জ শহরের ব্যাস্ততম স্থান বাজার ষ্টেশন কদম ফোয়ারা চত্বর। স্থানটি খুব দ্রুতই অবমুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জ পৌরসভার মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা।

পৌরসভার সৌন্দর্য্য বর্ধনের  জন্য নির্মাণ করা কদম ফোয়ারা চত্বর যেন এখন শহরবাসীর একটি আতংকের নাম। কদম ফোয়ারা সহ সিরাজগঞ্জ পৌরসভায় এই রকম বেশ কিছু সৌন্দর্য্য বর্ধক স্থাপনা থাকায় সিরাজগঞ্জ পৌরসভাকে প্রথম শ্রেনীর পৌরসভা হিসেবে ঘোষণা  করা হয়েছে অনেক আগেই। কিন্তু  সৌন্দর্য্য বর্ধক  কদম ফোয়ারা প্রাঙ্গনটি প্রথম কিছুদিন স্বাভাবিক থাকলেও বছরের বেশীর ভাগ সময় এই কদম ফোয়ারা ব্যবহার হয়  বিভিন্ন ফেস্টুন, পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড এবং সাইনবোর্ড লাগানোর স্থান হিসেবে।

আল মাহমুদ নামে এক অটোচালক বলেন, এই চত্বর দিয়ে চলাচলরত গাড়ি চালকদের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তের গাড়ি পোস্টার, ব্যানার লাগানোর কারণে দেখা যায়না, তাই প্রায়শই ঘটে ছোট বড় দূর্ঘটনা। এই দৃষ্টি নন্দন কদম ফোয়ারাটিকে বিভিন্ন্ ফেস্টুন, পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড এবং সাইনবোর্ড হিসাবে  ব্যাবহার করার ফলে এক দিকে যেমন ঘটছে দূর্ঘটনা তেমনি নষ্ট হচ্ছে কদম ফোয়ারার সৌন্দর্য্য। প্রতিদিনই ক্ষোভের তৈরি হচ্ছে জনমনে।

সিরাজগঞ্জ-ঢাকাগামী এস আই পরিবহনের চালক বাবু বলেন, আমরা ট্রিপে যাবার সময় বা আসার পরে এই স্থানে গাড়ি ঘোরাতে গেলে অপর প্রান্তে কোনও রিকশা ভ্যান বা ছোট গাড়ি থাকলে তা দেখা যায়না। যার ফলে খুবই ভয়ে ভয়ে গাড়ি ঘুরাতে হয়। যেকোনও মুহুর্তে দূঘর্টনা ঘটে যেতে পারে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহনের রাজশহী আঞ্চলিক কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল হোসেন দুলু বলেন, স্থানটিতে অসংখ্য পরিমান ফেস্টুন, বিলবোর্ড, ব্যানার থাকার কারনে আমাদের শ্রমিকেরা প্রতিনিয়তই কোনও না কোনও দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। শুধু তাই নয়, যেকোনও মুহুর্তে বড় দূর্ঘটনাও ঘটতে পারে। তাই কতৃপক্ষের নিকট আমার আহবান থাকবে যত দ্রুত সম্ভব কদম ফোয়ারা প্রাঙ্গন থেকে সকল প্রকার ফেস্টুন, ব্যানার, বিলবোর্ড অবমুক্ত করার।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পৌরসভার মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা চালকদের সমস্যার সঙ্গে একমত হয়ে বলেন, আমি ইতিমধ্যেই সকল ফেস্টুন, ব্যানার, বিলবোর্ড সহ সবকিছু অবমুক্ত করতে নির্দেষ দিয়েছি। আগামী রবিবারের মধ্যেই কদম ফোয়ারা প্রাঙ্গন অবমুক্ত হয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এস এম/ ওয়াই এ/ওআ