ন্যাভিগেশন মেনু

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) স্বাধীনতা দিবসে ৩০ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা


বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদানের মধ্যদিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৪ উদ্যাপিত হয়েছে। 

মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের এবং চবি উপ-উপাচার্যদ্বয় চবি স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অতঃপর চবি বিভিন্ন পর্ষদের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। 

পরে চবি উপাচার্যের নেতৃত্বে স্বাধীনতা স্মৃতিস্তম্ভ চত্বর থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি শুরু হয়ে চবি বঙ্গবন্ধু চত্বরে এসে শেষ হয়। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ও আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়।
 
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ আবু তাহের। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোঃ সেকান্দর চৌধুরী। অনুষ্ঠানে মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশমাতৃকার জন্য অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ৩০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

চবি উপাচার্য বলেন, “১৯৭১-এর ২৫শে মার্চ কালো রাতে পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির উপর বর্বরভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে নির্বিচারে গণহত্যা শুরু করলে ২৬ শে মার্চ প্রথম প্রহরে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে এবং তাঁরই সম্মোহনী নেতৃত্বে সর্বস্তরের জনগণ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্যদিয়ে পাকিস্তানি হানাদারবাহিনীদের পরাজিত করে অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা, বিশ্বমানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ। বাংলার মানুষ পায় একটি স্বাধীন ভূখন্ড, একটি লাল সবুজ পতাকা, একটি মানচিত্র ; বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার মতো গর্বিত পরিচয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অর্জিত স্বাধীনতার মূলমন্ত্র আজও আমাদের প্রেরণা জোগায় নির্ভীক যোদ্ধা হওয়ার, দেশ গড়ার কাজে আত্মনিবেদন করার।” 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য-সচিব চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা সন্মাননা কমিটির আহবায়ক চবি সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর সিরাজ উদ দৌল্লাহ, চবি বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নাসিম হাসান, চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আবদুল হক, চবি সিনেট সদস্য চবি নৃবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. ফরিদ উদ্দিন আহামেদ, চবি সিন্ডিকেট সদস্য চবি বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, চবি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. উদিতি দাশ, চবি অফিসার সমিতির সভাপতি রশিদুল হায়দার জাবেদ, চবি কর্মচারী সমিতির সভাপতি মোঃ সুমন (সুমন মামুন) ও চবি কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলী হোছাইন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চবি বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শেখ সাদী ও চবি অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুনা সাহা।

সম্মাননা অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে ও উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করা হয় এবং সম্মাননা ক্রেস্ট ও উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়। সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে স্মৃতি চারণ করে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মধুমিতা বৈদ্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ এনামুল হক। সম্মাননা অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।