ন্যাভিগেশন মেনু

প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী


দুগ্ধ ও পোল্ট্রি খামারিদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ‘প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৪’ এর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।


বৃহস্পতিবার (এপ্রিল ১৮) সকালে সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের (বিআইসিসি) পাশে শেরেবাংলা নগরের পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে আয়োজিত প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী ।


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী প্রোটিনের স্থানীয় চাহিদা মেটাতে বেসরকারি খাতকে এই ক্ষেত্রকে আরও সমৃদ্ধ করার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিন।


অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইমরান হোসেন দেশের ডেইরি খাতের প্রতিনিধি হিসেবে এবং বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রি সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) যুগ্ম আহ্বায়ক মশিউর রহমান পোল্ট্রি খাতের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।


শুরুতে প্রাণিসম্পদ খাতে বর্তমান সরকারের অগ্রগতি ও অর্জনের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘প্রাণি সম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ।’
উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে।


দর্শনার্থীরা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি দেখতে পারবেন। রাজধানীতে দুই দিনব্যাপী প্রদর্শনী শেষ হবে শুক্রবার। এক্ষেত্রে দর্শনার্থীদের কোনো প্রবেশমূল্য লাগবে না।
সারাদেশের পোল্ট্রি ও ডেইরি খামারীরা মেলায় তাদের গবাদি পশু-পাখি প্রদর্শনের জন্য যোগ দিয়েছেন। ৬৪ জেলার ৪৬৬টি উপজেলায় পাঁচ দিনব্যাপী অনুরূপ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।


আয়োজকরা জানান, দেশের বিভিন্ন জাতের প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনের জন্য প্রদর্শনী ময়দানে প্রায় ২৫টি প্যাভিলিয়ন ও ৩০টি স্টল স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে সাতটি প্যাভিলিয়ন সরকারি কর্তৃপক্ষের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।


মেলায় ঢাকা, কুমিল্লা, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, যশোর, বেনাপোল, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গাসহ অন্যান্য জেলা থেকে বিডিএফএর মোট ৫৫ হাজার সদস্যের মধ্যে ৩ হাজারের বেশি কৃষক মেলায় যোগ দেন।


আয়োজকদের মতে, প্রদর্শনীটি তৃর্ণমূল পর্যায়ের কৃষকদের জন্য মেগা কোম্পানিগুলোর সাথে একই জায়গায় তাদের পশু-পাখি উৎপাদন ও বিক্রি করার একটি দুর্দান্ত সুযোগ সৃষ্টি করবে।