ন্যাভিগেশন মেনু

ইতালিতে ফিরতে হলে বাসস্থানের ঠিকানা থাকতে হবে


নিষেধাজ্ঞা তুলে দিলেও যেসব ইতালি প্রবাসীর রেসিডেন্স কার্ড বা থাকার কোন স্থায়ী ঠিকানা নেই, তারা আপাতত ইতালিতে যেতে পারবে না বলে জানিয়েছে ইতালি সরকার। দেশটির সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে আটকে পড়েছেন অনেক প্রবাসী।

বুধবার (২১ অক্টোবর) ইতালি থাকা অভিবাসন কনসালটেন্ট আক্তারুজ্জামানে বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলা এক প্রতিবেদনে জানায়, ছোট একটা কনফিউশন আছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ইতালিতে ফেরার বিষয়ে। আর সেটি হচ্ছে কারও ইতালিতে অবস্থানের অনুমতির পাশাপাশি সেখানে বসবাসের জন্য একটি আবাসস্থল থাকতে হবে।

আগে যেকোনো প্রবাসী তার আবাস্থল রয়েছে বলে নিজে নিজে ঘোষণা দিতে পারতেন, কিন্তু এখন সেটা শুধু ঘোষণা দিলে হবে না, বরং সেটি প্রমাণ করে দেখাতে হবে। এটি প্রমাণে ব্যর্থ হলে ইতালি কর্তৃপক্ষ তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠাতে পারবেন।

তিনি বলেন, অনেক বাংলাদেশি ইতালিতে বসবাস এবং কাজ করলেও নির্দিষ্ট কোন ঠিকানা তারা সরকারিভাবে ব্যবহার করেন না। অনেক বাংলাদেশি একসাথে কয়েকজন মিলে বসবাস করেন। সেক্ষেত্রে সবার অফিসিয়াল ঠিকানা থাকে না। যাদের অফিসিয়াল এ ধরণের কোনো ঠিকানা নেই তারা এই মুহূর্তে ইতালি যেতে পারবে না।

উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, এক বাসায় হয়তো ছয়জন মিলে থাকেন কিন্তু সেখানে থাকার অনুমতি আছে হয়তো দুইজনের। সেক্ষেত্রে ওই বাসস্থানের ঠিকানা দুইজন অফিসিয়ালি ব্যবহার করতে পারলেও বাকিরা পারেন না। ফলে তাদের কোন ঠিকানাও থাকে না।

অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলেন, 'ইতালি সরকার বিষয়টিকে যেভাবে দেখছে তা হলো, যাদের নির্দিষ্ট ঠিকানা নেই, তার মানে হচ্ছে তাদের এখানে থাকার দরকার নেই। তাই আসারও দরকার নেই।'

ইতালিতে ফিরতে হলে দেশটির সরকার যেসব শর্ত বেঁধে দিয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, দেশটির নির্ধারিত সংস্থাগুলো থেকে করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকতে হবে, ইতালিতে পৌঁছানোর পর ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে এবং ইতালিতে বাসস্থানের অনুমতি থাকতে হবে।

করোনাভাইরাস মহামারির জন্য বেশ কয়েক মাস প্লেন চলাচল বন্ধ এবং নিষেধাজ্ঞার কারণে বাংলাদেশে এসে আটকে পড়েন বহু ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশি।

গত ১৪ অক্টোবর শর্ত সাপেক্ষে বাংলাদেশিদের ইতালিতে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দেশটিতে ফিরতে চাচ্ছেন এদের অনেকে। তবে টিকেট না পাওয়া, বসবাসের বৈধ ঠিকানা না থাকা এবং অনুমোদনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়াসহ নানা কারণে ফিরতে পারছেন না ছুটিতে বাংলাদেশে আসা এই প্রবাসীরা। সুত্র: বিবিসি বাংলা

এডিবি/