ন্যাভিগেশন মেনু

কলকাতায় ফিরে পরিবারের সবাইকে পদ্মার ইলিশ উপহার দেবেন কৌশানি


কলকাতায় ফিরে পরিবারের সবাইকে পদ্মার ইলিশ উপহার দেবেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় নায়িকা কৌশানি মুখোপাধ্যায়। ছবির কাজে বর্তমানে ইলিশের শহর চাঁদপুরে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৌশানি। তবে দুর্গোৎসব উদযাপন করবেন কলকাতায়।  

কলকাতার বাড়ি ফিরেই পরিবারের সবাইকে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ইলিশ উপহার দিতে চান এই অভিনেত্রী। তিনি বাড়িতে গিয়ে মায়ের হাতে শর্শে দিয়ে খোদ পদ্মার ইলিশ রান্না করে খাওয়ার প্ল্যান করছেন। চাঁদপুরে ছবির শুটিং করতে এসে মঙ্গলবার দুপুরে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা জানান।

কৌশানি মুখোপাধ্যায় বলেন, পদ্মার ইলিশ প্রতিটা বাঙালির কাছেই জনপ্রিয়। বিশেষ করে ইলিশ, শর্শে ইলিশ, ইলিশের ঝোল, ভাত, ডাল— এসব বলতে গেলেই জিভে জল এসে যায়। তবে ইলিশের কাটা নিয়ে খুব ভয় পাই। তবু ইলিশ আর ইলিশের ডিম খেতে আমার দারুণ লাগে। 

তিনি আরও বলেন, আমি শুটিং শেষে যেদিন কলকাতায় বাড়িতে ফিরব। চাঁদপুরের পদ্মা আর মেঘনার প্রচুর ইলিশ নিয়ে বাড়ির সবাইকে উপহার দেব। আর মায়ের হাতে শর্শে ইলিশ রান্না করে খাব। বাংলাদেশে সিনেমায় কাজ করছেন জানিয়ে কৌশানি বলেন, এটিই বাংলাদেশে আমার প্রথম কোনো সিনেমায় কাজ করা হচ্ছে।

এ সিনেমায় আমার নাম ‘প্রিয় ‘ আর সিনেমাটির নাম ‘প্রিয়া রে’। এটি একটি রোমান্টিক আর কনটেন্ট বেজড সিনেমা। আমি একজন ঘরোয়া মেয়ে। বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে। সেই আদর থেকেই প্রেমের অধ্যায়টা জীবনে শুরু হওয়া। আশা করছি এই সিনেমাটির মাধ্যমে বাংলাদেশের সবার মন জয় করতে পারব।

এদিকে ‘প্রিয়া রে’ সিনেমা প্রসঙ্গে কৌশানি মুখোপাধ্যায়ের বিপরীতে কাজ করা এপার বাংলার নায়ক শান্ত খান বলেন, আমি একঘেয়েমি থেকে বেরিয়ে এসে প্রত্যেকটা চরিত্র করতে চাই। শুধু অ্যাকশন হিরোর রোল প্লে করব— এমনটিতে আমি সীমাবদ্ধ থাকতে চাই না।  শাপলা মিডিয়ার প্রযোজনায় আমি এ সিনেমায় একজন রাখালের চরিত্রে অভিনয় করছি। খুবই ভালো একটি গল্প। আমার চরিত্রের নাম ‘নূর’।

কৌশানির সঙ্গে এটিই আমার প্রথম কাজ। যদিও এর পর ‘সোলজার’ নামের আরও একটি ছবিতে আমরা দুজনে ভারতে অভিনয় করব।‘প্রিয়া রে’- সিনেমায় গ্রামের নির্যাতিত গরিব অসহায়দের পক্ষ নিয়ে মাতবরদের বিরুদ্ধে আমি রুখে দাঁড়াতে নূর নামের চরিত্রে অভিনয় করছি। এ সিনেমায় সিবা শানু, রজতভ দত্ত রনি দাদাদের পেয়ে আমার কাজ করতে দারুণ লাগছে।

অবশ্য ‘প্রিয়া রে’-সিনেমাটি নিয়ে সিনেমার পরিচালক পুজন মজুমদারের অনেক প্ল্যানিং রয়েছে।  এ ব্যাপারে পুজন মজুমদার বলেন, খুব ভালো মানের একটি গল্প। একটি রিভেঞ্চ নিয়ে গল্পটি সাজানো হয়েছে। আমরা চাঁদপুরের চর ও বাসাবাড়ির কয়েকটি স্পট সিলেক্ট করে গ্রামীণ দৃশ্যগুলো ফুটিয়ে তুলছি।

এর পর গানসহ অন্যান্য কাজ ধরব। সিনেমাটি সফল করতে সবার ভালোবাসা চাইছি। অপরদিকে ওপার বাংলার হিরোইন কৌশানি মুখোপাধ্যায় চাঁদপুরে এসে শুটিং করায় বেশ উপভোগ করছেন স্থানীয়রা। চাঁদপুর সদরের ১০নং লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়নের ১নং ইউপি সদস্য মো. দুলাল মিয়া বলেন, রঘুনাথপুরের প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে ওপার বাংলার হিরোইন কৌশানি মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে আমাদের চাঁদপুরের গর্ব নায়ক শান্ত খান সিনেমার শুটিং করছে। আমরা শুটিং দেখে এলাকাবাসী খুব আনন্দ উপভোগ করছি।

এস এস