ন্যাভিগেশন মেনু

ইসরায়েলের সঙ্গে মরক্কোর কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে মরক্কো।

চুক্তির কথা স্বীকার করে মরক্কো জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে পূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থাপন করছে।

বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক ট্যুইটে এ চুক্তির কথা প্রকাশ করেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লিখেন, "আরেকটি ঐতিহাসিক ঘটনা। আমাদের দুই মহান বন্ধু ইসরায়েল ও মরক্কো পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে একমত হয়েছে - মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির ক্ষেত্রে একটি বড় অগ্রযাত্রা।"

চুক্তি অনুযায়ী, বিরোধপূর্ণ পশ্চিম সাহারা অঞ্চলের ওপর মরক্কোর যে দাবি, তাতে স্বীকৃতি দেবে যুক্তরাষ্ট্র। ওই অঞ্চল নিয়ে মরক্কো এবং আলজেরিয়া সমর্থিত পলিসারিও ফ্রন্টের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। পলিসারিও ফ্রন্ট এই অঞ্চলটিতে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং সুদানের পর চতুর্থ রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চুক্তিতে এলো মরক্কো।

অন্যদিকে মিসর ও জর্ডানের পর মরক্কো হলো আরব লিগের ষষ্ঠ সদস্য, যারা ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করলো।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, চুক্তি অনুযায়ী, ২০০০ সালে তেল আবিব ও রাবাতে বন্ধ করে দেয়া দুই দেশের লিয়াজো অফিসগুলো পুনরায় চালু করা হবে। তাছাড়া, মরক্কো ইসরায়েলিদের জন্য সরাসরি বিমান চলাচলের অনুমোদন দেবে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু চুক্তিকে ঐতিহাসিক হিসেবে আখ্যা দিয়ে টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে তিনি মরক্কোর বাদশাহকে ধন্যবাদ জানান।

অন্যদিকে, মরক্কোর বাদশাহর প্রাসাদ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা হয়, টেলিফোনে ট্রাম্পের সাথে আলোচনার সময় সম্ভাব্য কম সময়ের মধ্যে ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে বাদশাহ সম্মতি দিয়েছেন।

মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন। 

অন্যদিকে, ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা চুক্তির সমালোচনা করে বলেছেন, এই পদক্ষেপ তাদের অধিকার হরণে ইসরায়েলকে আরও উৎসাহিত করবে।

এডিবি/