ন্যাভিগেশন মেনু

চাটমোহরে রোপা ও বোনা আউশের বাম্পার ফলন


পাবনার চাটমোহরের কৃষকরা রোপা ও বোনা আউশ ধান কাটতে শুরু করেছেন। ভালো ফলন হওয়ায় এবং হাট-বাজারে ধানের দাম বেশি থাকায় রোপা ও বোনা আউশ চাষীদের চোখে-মুখে হাসির ঝিলিক দেখা যাচ্ছে।

চাটমোহর কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে চাটমোহরে ২ হাজার ২৪০ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে ১ হাজার ৭৮০ হেক্টর জমিতে রোপা আউশের চাষ হয়েছে। বাঁকি ৪৬০ হেক্টর জমিতে বোনা আউশের চাষ হয়েছে। গত বছর ১ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে এ ধরণের আউশ চাষ হয়েছিল। গত বছরের চেয়ে এ বছর ৪৯০ হেক্টর জমিতে রোপা ও বোনা আউশ চাষ বেড়েছে।

চাটমোহরের ডিবিগ্রাম, হরিপুর, মথুরাপুর ও ছাইকোলা ইউনিয়নে অপেক্ষাকৃত বেশি ব্রি ৪৮, ব্রি ৫৫ ও ব্রি ২৬ জাতের রোপা ও বোনা আউশ ধানের চাষ হয়। 

ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের প্রদর্শনীর কৃষক হাসার প্রামানিক কাটখালী ব্লকের অধীনে ৩৩ শতক জমিতে ব্রি ৪৮ জাতের রোপা আউশ চাষ করেছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর তার এ প্রদর্শনী বাস্তবায়ন করছে। জমির ধান পেকে গেছে। তিনি আশা করছেন ১৪ থেকে ১৫ মন হারে ফলন পাবেন। তার খরচ হয়েছে সাড়ে ৩ হাজার টাকা। এতে বিঘা প্রতি প্রায় ১০ হাজার টাকা লাভ পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। 

ধান কেটেছেন এমন অনেক কৃষক জানান, বিঘা প্রতি ১৪ থেকে ১৫ মণ হারে ফলন পাওয়া গেছে। এতে বিঘা প্রতি তাদের ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে।

চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এএ মাসুম বিল্লাহ জানান, 'সরকার কৃষকদের উন্নত জাতের আউশ ধান আবাদে উদ্বুদ্ধ করছে। এ লক্ষ্যে আমরা চাটমোহরের ৫০০ কৃষককে বিনামূল্যে প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ করেছি। ইতোমধ্যে ধান কাটা শুরু হয়েছে। বিঘা প্রতি প্রায় ১৫ থেকে ১৭ মণ হারে ফলন পাওয়া যাচ্ছে। অনেকটা বৃষ্টি নির্ভর হওয়ায় আউশ আবাদে খরচ কম। এছাড়া আউশ আভাদে ভূগর্ভস্ত পানির উপর চাপ কমছে। কৃষক লাভ করতে পারছেন এবং উপকৃত হচ্ছেন।'

আইকেআর/এডিবি/