ন্যাভিগেশন মেনু

অভিজাত এলাকায় গাড়ি চলাচলে ‘অতিরিক্ত ট্যাক্স’ দিতে হবে: আতিক


রাজধানীর গুলশান ও বারিধারার মতো অভিজাত এলাকায় গাড়ি চলাচলে অতিরিক্ত ট্যাক্স দিতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘আমাদের গাড়ির সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। এসব গাড়ির জন্য দিন দিন যানজটের মাত্রা বাড়ছে। তাই আমরাও পরিকল্পনা করেছি, রাজধানীর অভিজাত এলাকা দিয়ে গাড়ি চলার সময় অতিরিক্ত ট্যাক্স দিতে হবে।’

শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর খিলগাঁওয়ে এক পদযাত্রা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বিশ্ব ব্যক্তিগত গাড়িমুক্ত দিবস উপলক্ষে এ পদযাত্রার আয়োজন করে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ।

এ সময় মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিদেশে আমরা দেখেছি, যাদের গাড়ি আছে তাদেরও বিভিন্ন রাস্তায় ঢুকলে এক্সট্রা চার্জ দিতে হয়। তাই আমরাও পরিকল্পনা করেছি, গুলশান বারিধারাসহ অভিজাত এলাকাগুলোতে গাড়ি ঢুকলে এক্সট্রা চার্জ দিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এসব অভিজাত এলাকায় মেশিন বসিয়ে প্রথমে গাড়ি গণনা করবো, দেখবো কতোগুলো গাড়ি প্রবেশ করে। এরপর একটি সমীক্ষা করে বিষয়টি আমরা কার্যকর করবো। তখন অভিজাত এলাকায় গাড়ি চলার সময় ‘এক্সট্রা চার্জ’ ধরা হবে।’

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘আমাদের সড়কে অনেক রুটপারমিটবিহীন গাড়ি চলাচল করছে, অনেক গাড়ির ফিটনেস নেই। এসব বিষয়ে আমাদের পদক্ষেপ গ্রহণ করে জরুরিভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া যেসব এলাকায় সমস্যা আছে সেগুলো এলাকাভিত্তিক ভাবে স্থানীয়রা দায়িত্ব নেন। আমাকে জানান কী সমস্যা আছে, কী করতে হবে। আমি আপনাদের সঙ্গে নিয়ে সেসব সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেবো।’

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ফুটপাত দখল হয়ে আছে, খালগুলোতেও একই অবস্থা। আমাদের এসব দখলমুক্ত করতে হবে। সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। আগামী প্রজন্মের জন্য আমাদের খেলার মাঠগুলো উন্মুক্ত করে দিতে হবে। সবাই মিলে নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে একটি সুন্দর, সচল, আধুনিক, সুস্থ ঢাকা আমাদের গড়তে হবে।’

নির্দিষ্ট সময়ের জন্য চাঁদামুক্তভাবে ফুটপাতে ব্যাবসার পরিবেশ সৃষ্টির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান ডিএনসিসি মেয়র।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক, ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমান এবং স্থানীয় কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এমআইআর/এডিবি/