ন্যাভিগেশন মেনু

ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায়


বিশ্বের প্রায় সাড়ে ৪ কোটি মানুষ ইউরিক এসিডের সমস্যায় কাতরাচ্ছেন। প্রায় ১৫ লাখ মানুষ ইউরিক এসিডে গাঁটের ব্যথায় শয্যাশায়ী হয়ে দিন কাটাচ্ছেন। এক গবেষণাপত্রে তেমন তথ্যই মিলেছে।

ইউরিক এসিডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব বেশি কষ্টকর নয়। এমনকি এই রোগ সারাতে আজীবন ওষুধ খাওয়ারও প্রয়োজন নেই। শুধু দরকার জীবনযাত্রার ধারা পরিবর্তন করা- এমনই মত বিশেষজ্ঞদের।

ইউরিক এসিড হওয়ার কারণ-

কম বিপাক (অন্ত্রের স্বাস্থ্য খারাপ)

শারীরিক ক্রিয়াকলাপের অভাব

বেশি প্রোটিন ও কম চর্বি খাওয়া

ভারি ডিনার

অনিয়মিত ঘুম ও খাওয়া

কম পানি পান করা বা পানির অভাব

কিডনির সমস্যা

বেশি মাংস খাওয়া

ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায়

প্রতিদিন অন্তত ৪৫ মিনিট ব্যায়াম করুন।

পর্যাপ্ত পানি পান করুন।

রাতের খাবারে ডাল/মটরশুটি ও গম খাবেন না।

রাতের খাবার ৭-৮টার মধ্যে শেষ করুন।

সাইট্রাস ফল যেমন- আমলা, জামুন ইত্যাদি খান।

বিপাকক্রিয়া বাড়ানোর চেষ্টা করুন।

স্ট্রেস কম রাখুন।

রাতে ভালো ঘুম দরকার, যা আপনার হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। 

> আয়ুর্বেদ উপায়ে ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণ

ভারতীয় চিকিৎসক আয়ুর্বেদ চিকিৎসক দীক্ষা ভাবসার মতে, গুলঞ্চ বা গিলয় গাউটের জন্য সেরা আয়ুর্বেদিক ওষুধি। যদি আপনার বাড়িতে গিলয় থাকে তবে আপনি এটি সহজেই ব্যবহার করতে পারেন। 

গিলয়ের টাটকা পাতা ও ডালপালা সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ওই পানি ও পাতা ফুটিয়ে অর্ধেক করে নিন। এরপর পানি ছেঁকে পান করুন। এ ছাড়াও গিলয়ের রস, গুঁড়া ও ট্যাবলেটও খেতে পারেন।

ইউরিক এসিড অতিমাত্রায় বেড়ে গেলে গেঁটে বাত বা গিঁটে গিঁটে ব্যথার মতো একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হাঁটু-সহ বিভিন্ন অস্থিসন্ধিতে ইউরিক এসিড জমা হতে থাকে। 

এ কারণে অস্থিসন্ধি ফুলে যায় ও ব্যথা হতে থাকে। দীর্ঘদিন এই সমস্যায় ভুগলে কিডনিতে পাথর জমতে পারে। এ ছাড়াও আরও কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে। যেমন- 

পিঠ, পেট, বা কুঁচকিতে ব্যথা হওয়া।

বমি বমি ভাব।

ঘন ঘন প্রস্রাব করার তাগিদ।

প্রস্রাবের সময় জ্বালা-পোড়া ও ব্যথা।

প্রস্রাব দিয়ে রক্তও যেতে পারে।

প্রস্রাবে দুর্গন্ধ হয়ে থাকে।

এস এস