ন্যাভিগেশন মেনু

তীব্র তাপদাহে হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর


তীব্র তাপদাহের কারণে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সারা দেশের হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

রবিবার (২১ এপ্রিল) সচিবালয়ে সারাদেশের হাসপাতালের পরিচালক এবং সিভিল সার্জনদের সঙ্গে অনলাইনে এক সভা শেষে তিনি এই নির্দেশনার কথা জানান।

তাপপ্রবাহের কারণে কোল্ড কেস অর্থাৎ যাদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দেওয়া জরুরি নয়, সেসব রোগীদের এই মুহূর্তে হাসপাতালে ভর্তি না করার পরামর্শ দেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই গরমে সবচেয়ে ঝুঁকিতে শিশু ও বৃদ্ধরা। হাসপাতালের পরিচালক ও সিভিল সার্জেনের সঙ্গে আমি বৈঠক করেছি। আমার কয়েকটা নির্দেশনা ছিলো এর মধ্যে বয়স্ক ও শিশুদের প্রয়োজন ছাড়া যেন বাসার বাইরে না যায়। হাসপাতালগুলোতে কোনো কোল্ড কেস এখন ভর্তিতে না করেছি।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘এসব রোগীদের ক্ষেত্রে অবস্থা দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছি। হাসপাতাল ফাঁকা রাখতে বলেছি, এই জন্য যদি গরমজনিত কারণে বেশি রোগী আসে তাহলে যেন সহজে চিকিৎসা সেবা দেওয়া যায়।’


স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এবার এমন একটা জলবায়ু পরিবর্তন হলো যে আমরা জীবনে কখনো শুনিনি যে দুবাই বিমানবন্দর পানিতে ডুবে গেছে। যাহোক এটা প্রকৃতির নিয়ম। আমাদের এগুলো ফেস করতে হবে।

তীব্র তাপদাহে বাচ্চাদের ঝুঁকি এড়াতে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমার কাছে যখন মেসেজ আসলো (হিট অ্যালার্ট), আমি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সান্নিধ্যে গিয়ে স্কুলটা বন্ধ করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। কারণ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে বাচ্চা এবং বয়স্করা।

সামন্ত লাল বলেন, হাসপাতালগুলোতে কোনো কোল্ড কেস এখন ভর্তি করতে না করেছি। কোল্ড কেস অর্থাৎ এক মাস পর অপারেশন করলে অসুবিধা না হয়, সেটা দুই সপ্তাহ পরে করুক। হাসপাতাল খালি রাখার জন্য বলছি যে যদি চাপ হয়, তাহলে বাচ্চা এবং বয়স্কদের জন্য যেন ভর্তি করা হয়। এখন কোল্ড কেস কয়েক দিন বন্ধ থাকবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের ওরাল স্যালাইনের কোথাও কোনো ঘাটতি হলে যেন আমাকে সঙ্গে সঙ্গে জানানো হয়। কোনো জায়গায় কোনো ঘাটতি হলে…। এখন পর্যন্ত আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। প্রকৃতির ওপর তো আমাদের কারও হাত নেই। এটা আমাদের রেডি রাখতে হবে।

শিশুদের জন্য হাসপাতালগুলোতে পর্যপ্ত ব্যবস্থা আছে কি না- জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি গতকাল শিশু হাসপাতালে গিয়েছিলাম। শিশু হাসপাতালগুলোকে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখার জন্যই সারাদেশের হাসপাতালগুলোকে নির্দেশ দিয়েছি। কোল্ড কেসগুলোকে এখন হাসপাতালে ভর্তি না করতে বলা হয়েছে। বাচ্চাদের ব্যাপারে আজকে থেকে একটা অনলাইন ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করছি সারাদেশের চিকিৎসকদের নিয়ে।

সভায় জানানো হয়, মহাখালীতে করোনা চিকিৎসার জন্য ডিএনসিসি হাসপাতালে শিশু ও বয়স্কদের জন্য আলাদাভাবে বেড রাখতে বলা হয়েছে।

এসময় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম উপস্থিত ছিলেন।