ন্যাভিগেশন মেনু

কিছু পথ যানবাহনে কিছু পথ পায়ে হেঁটে ঢাকায় ফিরছেন মানুষ


কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে দেশের সব জায়গায় যান চলাচল বন্ধ থাকার কথা থাকলেও শনিবার সকাল থেকে ঢাকায় ঢুকেছেন হাজার হাজার মানুষ। ঈদের ছুটি শেষে চাকরি বাঁচাতে কিছু পথ যানবাহনে কিছু পথ পায়ে হেঁটে ঢাকায় ফিরছেন তারা। কঠোর লকডাউনে রাস্তায় কোনও গণপরিবহন না থাকায় এভাবেই আসছেন কর্মজীবীরা।

যাত্রীদের অধিকাংশ বলেছেন নানা উপায়ে তারা ঢাকায় ফিরছেন। তবে বেশির ভাগ যাত্রী অ্যাম্বুলেন্স, মোটরসাইকেল, রিকশায় এবং কেউ কেউ পায়ে হেঁটেই আমিনবাজার ব্রিজ দিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করছে।

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থেকে ঢাকায় আসা এক যাত্রী বলেন, ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলে ঢাকায় ফিরতে তার খরচ হয়েছে দুই হাজার টাকা। তবে আমিন বাজার ব্রিজ পর্যন্ত মোটরসাইকেলে আসতে পারলেও পুলিশি বাধায় ব্রিজেই নামতে হয় তাকে।

শনিবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর প্রবেশমুখ গাবতলী ও আমিন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি শেষে ঢাকায় ফিরছে মানুষ। চাকরি বাঁচাতে পায়ে হেঁটে, রিকশায়, মোটরসাইকেল কিংবা সাইকেলে চড়ে ঢাকায় ফিরছেন তারা।

করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। চলমান বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে চাকরি বাঁচাতে ঢাকামুখী বিভিন্ন জেলার মানুষ। কষ্ট করে ঢাকায় আসার পরও বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে কর্মজীবীদের।

বাস বন্ধ থাকায় বেশিরভাগ মানুষই ফিরছেন ব্যক্তিগত গাড়িতে চড়ে। তবে প্রবেশমুখে ছিল পুলিশের কড়াকড়ি। চেকপোস্টে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা গাড়ি, মোটরসাইকেল চেক করছেন। জরুরি পরিষেবা ব্যতীত অন্য কোনো গাড়িকে শহরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

লকডাউনের প্রথম দিন রাস্তায় গাড়ি না থাকলেও রিকশার উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। তবে দ্বিতীয় দিনে মোটরসাইকেল এবং ব্যক্তিগত গাড়ি কিছুটা বেড়েছে। শহরের মধ্যে পুলিশি তৎপরতা থাকলেও কিছুটা শিথিল বলেই মনে হলো।

সিবি/এডিবি/