ন্যাভিগেশন মেনু

উপবৃত্তির তথ্য এন্ট্রিতে সময় বাড়লো আরও ১০ দিন


প্রাথমিকের উপবৃত্তি বিতরণে চতুর্থ দফায় ডাটা এন্ট্রির সময় আরও ১০ দিন বাড়ানো হয়েছে। সোমবার (১৫ মার্চ) সকাল থেকে নানা জটিলতায় তালিকা থেকে বাদ পড়া শিক্ষার্থীরা ২৫ মার্চ পর্যন্ত ডাটা এন্ট্রি করতে পারবে বলে জানা গেছে।

উপবৃত্তি প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, এর আগে সর্বশেষ ২৫ জানুয়ারি তৃতীয় দফা তথ্য দেওয়ার শেষ দিন ছিল। এরপরও যারা বাকি ছিল তাদেরও উপবৃত্তির আওতায় নিয়ে আসার জন্য এ সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

২০২০-২১ অর্থবছরের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ও (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কিস্তির সুবিধাভোগীর ডাটা এন্ট্রির জন্য নগদ পোর্টাল উন্মুক্ত করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ১ম কিস্তির ডাটা এন্ট্রির পর ২য় কিস্তির ডাটা চালু হবে।

এর আগে ৪ মার্চ প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রদান প্রকল্প থেকে শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি জন্য চতুর্থদফা সময় বাড়িয়ে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেশের সব বিভাগীয় ও জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়।

নির্দেশনায় বলা হয়, ২০২০ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ম ও ২য় কিস্তির সুবিধাভোগীদের তথ্য উপবৃত্তি ‘নগদ’ পোর্টালে আপলোডের জন্য ১৫ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে। এ সময়ে নগদের পোর্টাল উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এ সময়সীমা কোনোভাবেই বাড়ানো হবে না।

আরও বলা হয়, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের ৪র্থ কিস্তির (এপ্রিল-জুন/২০২০) উপবৃত্তির অর্থ বিতরণের সময় ১ম ধাপে সুবিধাভোগীদের তথ্য ও ২য় ধাপে চাহিদাপত্র এন্ট্রি করা হয়েছিল। দুটি পর্যায়ে কাজ করতে বেশি সময়ক্ষেপণ হয়েছে। এজন্য এখন হতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে একবারেই চাহিদাসহ সুবিধাভোগীদের তথ্য এন্ট্রি করতে হবে।

এ বিষয়ে কোনো সমস্যা বা অস্পষ্টতা থাকলে ডাটা এন্ট্রির নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রধান শিক্ষককে জেলা মনিটরিং কর্মকর্তা বা নগদ-এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কিংবা প্রকল্প কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

গত বছর ১৩ ডিসেম্বর উপবৃত্তি বিতরণের দশমিক ৭৫ পয়সা সার্ভিস চার্জ ধরে ‘নগদ’-এর সঙ্গে চুক্তি করে প্রাথমিক উপবৃত্তি প্রকল্প। চুক্তি অনুযায়ী, জিটুপি (সরকার টু পাবলিক) পদ্ধতিতে উপবৃত্তির টাকা বিতরণ করবে নগদ। উপবৃত্তির জন্য শিক্ষার্থীর জন্মনিবন্ধন এবং মায়ের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে ডাটা এন্ট্রি বাধ্যতামূলক করা হয়। এতে ডাটা এন্ট্রির কাজ শুরু করে নানা জটিলতায় পড়েন শিক্ষক-অভিভাবকরা। 

এস এ/এডিবি