ন্যাভিগেশন মেনু

এএসপি শিপন হত্যা: মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক গ্রেপ্তার


সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম শিপনকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ‘মাইন্ড এইড’ হাসপাতালের পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর নিউরো সাইন্স হাসপাতাল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে ঘটনার দুইদিনের মাথায় মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করা হল। পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের এডিসি মৃত্যুঞ্জয় দে সজল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে এএসপি হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মামলায় সোমবার রাত ও মঙ্গলবার ‘মাইন্ড এইড’ হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয় (৩৫), কো-অর্ডিনেটর রেদোয়ান সাব্বির, কিচেন শেফ মাসুদ (৩৭), ওয়ার্ডবয় জুবায়েত হোসেন (১৯), ওয়ার্ডবয় তানভীর হাসান (১৮), ফার্মাসিস্ট তানিফ (২০), ওয়ার্ডবয় সঞ্জীব চৌধুরী (২০), ওয়ার্ডবয় অসীম চন্দ্র পাল (২৪), ওয়ার্ডবয় লিটন আহমদ (১৮) ও ওয়ার্ডবয় সাইফুল ইসলাম পলাশ (৩৫)- কে গ্রেফতার করা হয়। 

পরে মঙ্গলবার গ্রেফতারকৃতদের আদালতে হাজির করা হয়। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য প্রত্যেককে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদাবর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মোহাম্মদ ফারুক মোল্লা। শুনানি শেষে প্রত্যেকের সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক।

প্রসঙ্গত, সোমবার (৯ নভেম্বর) সকালে আদাবরের এই মানসিক রোগ নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে গিয়ে হাসপাতালে কর্মচারীদের পিটুনিতে এএসপি আনিসুল করিম নিহত হন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, হাসপাতালের কর্মচারীদের এলোপাতাড়ি পিটুনিতে আনিসুল মারা গেছেন। তার মৃত্যু অনাকাঙ্ক্ষিত নয়, এটি হত্যাকাণ্ড। আনিসুলের পরিবারও একই অভিযোগ করেছে। তারা জানিয়েছেন, ভর্তির পর পর হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করায় তারা পুলিশ কর্মকর্তাকে শান্ত করার চেষ্টা করেছেন। পরে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় সোমবার রাতেই তার বাবা বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি মামলা করে।

 ওআ/