ন্যাভিগেশন মেনু

করোনাভাইরাসের চেয়ে হেপাটাইটিসে মৃত্যু বেশি


বাংলাদেশে প্রতিবছর হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাসজনিত লিভার রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে প্রায় ২০ হাজার মানুষ, যা করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত এ দেশে যতজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি। আজ বুধবার বিশ্ব হেপাটাইটিস দিবস।

এই রোগে দেশে প্রতি বছর ২০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরামর্শক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশনের অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল এ তথ্য জানিয়েছেন।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে এ বছর দিবসটি পালনে ব্যাপক আয়োজন না থাকলেও বিভিন্ন সংস্থার ভার্চুয়াল সভা-সেমিনারের কর্মসূচি রয়েছে।তিনি জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতিবছর হেপাটাইটিস ‘বি’ ও ‘সি’ ভাইরাসজনিত লিভার রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করে প্রায় ২০ হাজার মানুষ।

যা করোনা মহামারিতে এ পর্যন্ত এ দেশে যতজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি। আর দেশের প্রায় ১ কোটি মানুষ হেপাটাইটিস ‘বি’ বা ‘সি’ রোগে আক্রান্ত।তিনি আর বলেন, “দেশে প্রায় সাড়ে ৫ শতাংশ মানুষের শরীরে হেপাটাইটিস ‘বি’ ভাইরাসের সংক্রমণ আছে আর হেপাটাইটিস ‘সি’ ভাইরাসে সংক্রমিত আরও প্রায় ১ শতাংশের কাছাকাছি।

এখানেই শেষ নয়, এ দেশের আরও প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ তাদের জীবদ্দশায় কোনো এক সময় হেপাটাইটিস ভাইরাসে এক্সপোজড হয়েছেন। দেশে সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলোর মেডিসিন বিভাগগুলোতে প্রতিবছর যত রোগী ভর্তি হয় তার প্রায় ১২ শতাংশ ভুগছেন লিভার রোগে।

আর যারা মারা যাচ্ছে, হিসাব করলে দেখা যাবে সেখানেও লিভারের রোগগুলো আছে একেবারে ওপরের দিকে। বৈজ্ঞানিক প্রকাশনাগুলো থেকেই দেখা যাচ্ছে, এ দেশের ৮০ শতাংশ লিভার সিরোসিস আর লিভার ক্যান্সার হচ্ছে এই দুটি ঘাতক ভাইরাসের কারণেই।”

উল্লেখ্য, বিশ্ব জুড়ে ৩২৫ মিলিয়ন মানুষ হেপাটাইটিস ‘বি’ ও ‘সি’তে আক্রান্ত। ফলে প্রতি বছর ১৪ লাখ মানুষের মৃত্যু হয় এ দুই ভাইরাসের কারণে। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এইচসিভির সংক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১৪৩ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

বুধবার (২৮ জুলাই) দুপুর ২টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বুলেটিনে অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম এ তথ্য জানান।ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ২০১৯ সালে ঢাকা মহানগরীতে আমরা ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ দেখেছি।

সৌভাগ্যক্রমে গত বছর ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ দেখা যায়নি। এ বছর আবারও ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১৪৩ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু একজন রোগী ঢাকার বাইরের। ১৪২ জন রোগী ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।তিনি আরও বলেন, বর্তমানে সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে সর্বমোট ৫০৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

ঢাকার ৪১টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে গতকালের হিসাব মতে সর্বমোট ৫০০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঢাকার বাইরে সবগুলো বিভাগ ও জেলা মিলে ৯ জন রোগী ভর্তি আছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র বলেন,  জানুয়ারি মাসের এক তারিখ থেকে জুলাই মাসের ২৭ তারিখ পর্যন্ত সর্বমোট এক হাজার ৯৪৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে এক হাজার ৪৩৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। ডেঙ্গু সন্দেহে তিনজনের মৃত্যুর খবর আমাদের আইইডিসিআর এর কাছে এসেছে।

এস এস