ন্যাভিগেশন মেনু

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় কাবিখা ও টিআর প্রকল্পের শতভাগ কাজ সম্পন্ন


কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় দুই কোটি ৬৯ লাখ ৮৬ হাজার ৯৮৭ টাকা ব্যয়ে ৩৬৭টি টেস্ট রিলিফ (টিআর) এবং ১ কোটি ৯৯ লাখ ২৩ হাজার ৭২০ টাকা ব্যায়ে ৭৭টি কাজের বিনিময় খাদ্য কর্মসুচি (কাবিখা) প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

এসব প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ জনপদের কাঁচারাস্তা মেরামত, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ, মন্দির, স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, এতিমখানা সংস্কার, গাইডওয়াল, কালভার্ট ও গণশৌচাগার নির্মাণ, কবরস্থান সংস্কার ও রাস্তা পাকাকরণের কাজ করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়।

প্রকল্প এলাকাগুলো হচ্ছে - পাঁচগাছী, যাত্রাপুর, ঘোগাদহ, ভোগডাঙ্গা, হলোখানা, মোগলবাসা, বেলগাছা ও কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়ন। 

প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তা কার্যালয়ের তত্ত্বাবধায়নে প্রতিটি এলাকায় প্রকল্পের কাজ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন হওয়ায় প্রকল্প এলাকাগুলোর দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। 

যাত্রাপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার এরশাদুল হক জানান, 'কাবিখা প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হওয়ায় চলমান বর্ষা মৌসুমে জনগণ সুফল পাচ্ছেন।'

ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের আব্দুল হাই মাষ্টার বলেন, 'টিআর প্রকল্পের মাধ্যমে এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যাপক সংস্কার করা হয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট সকলেই উপকৃত হচ্ছে।'

হলোখানা ইউনিয়নের নবাব আলী জানান, 'এ বছর টিআর এবং কাবিখা প্রকল্পের কাজে কোন অনিয়ম হয়নি। ফলে কাজের গুনগতমান ভাল হয়েছে।'

এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, 'মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ‘গ্রাম হবে শহর’ এই বিষয়টিকে আমলে নিয়ে গ্রামীণ জনপদের প্রতিটি প্রকল্পের কাজ সুন্দরভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।'

কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব পনির উদ্দিন আহমেদ বলেন 'গ্রামীণ জনপদের মানুষগুলোর জীবনমান উন্নয়নের বিষয়টির উপর গুরুত্বারোপ করে প্রতিটি প্রকল্পের কাজ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে গ্রামের মানুষজন বাস্তবায়িত প্রকল্পের সুফল পেতে শুরু করেছে।'

এআর/এডিবি/