ন্যাভিগেশন মেনু

গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন করাটাই এলজিইডি'র মূখ্য উদ্দেশ্য: প্রধান প্রকৌ. মো. আলি

এলজিইডি চট্টগ্রাম বিভাগের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান প্রকৌশলী


স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আলি আক্তার হোসেন বলেছেন, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন কাজের বেশির ভাগ কাজ করে থাকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। সরকার শহর-গ্রামের দূরত্ব গোচাতে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন কাজের গুরুত্ব দিয়েছে। গত বছরে আমাদের সফলতা অনেক । এবছর আমাদেরকে আরও বেশি করতে হবে। 

শনিবার সকালে চট্টগ্রামে এলজিইডি ভবনে কামরুল ইসলাম সিদ্দিক মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার তত্ত্বাবধয়ক প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী, উপ -পরিচালক, সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী, উপজেলা প্রকৌশলী, উপ-সহকারী প্রকৌশলী, উপ-সহকারী (যান্ত্রিক) ল্যাব টেকনিশিয়ানদের উদ্দেশ্যে বাস্তবায়ধীন প্রকল্প ও কর্মসূচীর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানে সকলের সহযোগিতা ও আন্তরিকতা কামনা করা হয়।

এলজিইডি চট্টগ্রামে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী অনিল চন্দ্র বর্মনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জাবেদ করিম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশিদ মিয়া, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সৈয়দ শফিকুল ইসলাম বিন্দু।

বিভাগীয় এই কর্মশালার সার্বিক তত্ত্বাবধান ও অনুষ্ঠান আয়োজনে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হাসান আলী মূখ্য ভূমিকা পালন করেন।

সভায় প্রধান প্রকৌশলী আলি আকতার বলেন - আপনারা হচ্ছেন এদেশের সত্যিকারের উন্নয়নের ধারক। গ্রামীন অর্থনীতির চালিকাশক্তি হচ্ছে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা। আর সেকাজটি করে আপনারা গ্রামূন অর্থনীতির চিত্র পাল্টিয়ে দিয়েছেন। আজকে দেশের এঅগ্রগতিতে আপনাদের ভূমিকা অনেক। স্থানীয় সরকার চট্টগ্রাম বিভাগের সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের একান্ত প্রচেষ্টায় ২০২৩-২৪ চলমান উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) আয়োজনে চট্টগ্রাম বিভাগের সকল প্রকৌশলী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিক ও ঠিকাদার নিয়ে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা সংক্রান্ত অংশীজনের অংশগ্রহণের ৩য় ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী অনিল চন্দ্র বর্ম্মণ বলেন, আমরা কোন প্রকল্প গ্রহণ করার সময ডিপিপি, ফিজিক্যাল স্টাডি, জনপ্রতিনিধিকে সম্পৃক্ত করা হয়। আমরা সিটিজেন চার্টার মাধ্যমে কর্মপরিল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করা হয়।

প্রধান প্রকৌশলী মো: আলি আকতার হোসেন, এলজিইডি সকল প্রকল্পে জনগণকে মতামত দেয়ার সুযোগ থাকবে। সেজন্য স্থানীয় প্রতিনিধিদের অংশগ্রহন আরো বাড়াতে হবে। ইঞ্জিনিয়ারিং কাজগুলো সবসময় পরিপূর্ণ হওয়ার জন্য মনিটরিং টিম আছে, ঠিকাদাররা সেজন্য হতাশা করেন। ঠিকাদার ভালো রেট যদি দেন, তবে সেভাবে লাভও পাবেন। সারা দুনিয়াতে ইঞ্জিনিয়ার ও ঠিকাদার মধ্য দ্বন্দ্ব থাকবে। বিষয়টাকে সহজভাবে ভাবেন, সে সম্পর্কটুকু আরো মজবুত হবে। এই বছর ফান্ডের কোন সংকট নেই। তবে চট্টগ্রামে এবার কাজের অগ্রগতি ৬০ শতাংশ বেশি হয়েছেন। তার জন্য ঠিকাদারদের ভূমিকা রয়েছে। এই বছর সাড়ে ৩ হাজার কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। ছোট-খাটো অভিযোগ কাজে, কিন্তু সমন্বয় থাকলে কাজের মানও ভালো হবে। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আমরা চাই জনগণ সম্পৃক্ত থাকুক।

এছাড়াও একই রাস্তাতে বারবার অর্থ দিবো না, কারণ সারা বিশ্বে একই নিয়ম চালু আছে। সরকারের অর্থ থাকবে বলে সেটাতো ইচ্ছামত খরচতো করা যাবেনা। একই রাস্তায় তিন বছর যাতে স্থায়ীত্ব থাকতে হবে। সকল কাজে ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়ারগণ তদারকি করতে হবে। ফসলী জমির যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। গ্রামীণ হাট-বাজারকে কেন্দ্র করে প্রকল্পের উন্নয়নমূলক কাজ করা প্রয়োজন। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন করাটাই এলজিইডি'র মূখ্য উদ্দেশ্য।

জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা সংক্রান্ত সভায় বক্তারা জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।