ন্যাভিগেশন মেনু

চলচ্চিত্রের শক্তিশালী এক স্তম্ভ ভেঙে গেলো: অমিতাভ


উপমহাদেশের কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় রবিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যার মৃত্যতে শোকাহত পুরো ভারত। কিংবদন্তীর বিদায়ে শোকস্তব্ধ সব তারকা। শোক প্রকাশ করেছেন ভারতীয় সিনেমার এই সময়ের সবচেয়ে বড় তারকা অমিতাভ বচ্চনও। সৌমিত্রর সঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার করে বিগ বি সম্মান জানিয়েছেন।

অমিতাভ বচ্চন বলেছেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় একজন আদর্শবান কিংবদন্তি। চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম শক্তিশালী একটা স্তম্ভ ভেঙে গেলো। তিনি অত্যন্ত সজ্জন ও অসামান্য মেধাবী মানুষ। কলকাতায় ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব ইন্ডিয়ার অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে শেষ দেখা হয়েছিল। প্রার্থনা।

প্রায় সাত দশকেরও বেশি সময় ধরে সিনেমা জগত দাপিয়ে বেড়িয়েছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। অভিনেতার রুপালি সফর শুরু হয় ১৯৫৯ সালে। ছবির নাম অপুর সংসার, যা পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়। সেই পথচলা শুরু এই জুটির। সত্যজিৎ রায় পরিচালিত ৩৪টি ছবির ১৪টি ছবিতে অভিনয় করেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, যা বিরল প্রাপ্তি।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ৬১ বছর দীর্ঘ ফিল্মি ক্যারিয়ারে প্রায় ২৫০টি ছবিতে অভিনয় করেছেন।

নাট্যশিল্পী হিসেবেও তাঁর দেশজোড়া কদর। তাঁর কর্মজীবন শুরু আকাশবাণীতে, ঘোষক হিসেবে। তাঁর আবৃত্তি মন ভরিয়েছে আপামর বাঙালির। আবৃত্তির পাশাপাশি কবিতা রচনাও করেছেন তিনি। করেছেন পত্রিকা সম্পাদনার কাজ।

২৫০টির বেশি ছবিতে সুচিত্রা সেন, শর্মিলা ঠাকুর, অপর্ণা সেন, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, মাধবী মুখোপাধ্যায়, লিলি চক্রবর্তী, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত, মমতাশংকর থেকে গার্গী রায়চৌধুরির মতো প্রচুর নায়িকার নায়ক তিনি।

১৯৩৫ সালে কৃষ্ণনগরে জন্মগ্রহণ করেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। বাবা মোহিত কুমার চট্টোপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্টের উকিল ছিলেন। তবে নাটকের চর্চা নিয়মিত ছিলো পরিবারে। বাবা নাটকের দলে অভিনয় করতেন। ছোট থেকেই সেই পরিবেশে বড় হওয়া তাঁর। তখন থেকেই অভিনয়ের প্রেমে পড়ে যান সৌমিত্র। কলকাতার সিটি কলেজ থেকে প্রথমে আইএসসি এবং পরে বিএ অনার্স (বাংলা) পাস করার পর পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কলেজ অফ আর্টস-এ দুবছর পড়াশোনা করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।

ওআ/