ন্যাভিগেশন মেনু

'চাহিদা বিবেচনায় পাটখাতের যুগোপযোগী সংস্কার করা হচ্ছে'


বর্তমান সরকার আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা বিবেচনায় পাটখাতের যুগোপযোগী সংস্কারে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পরিবেশবান্ধব পাটের ব্যবহার বহুমুখীকরণ ও উচ্চমূল্য সংযোজিত পাটপণ্যের উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। 

মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রনালয়ের সম্মেলন কক্ষে উজবেকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের সম্ভাব্য স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উজবেকিস্তানে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মো: জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বস্ত্র ও পাট সচিব এসব কথা বলেন।

সচিব বলেন, ‘ইতোমধ্যে পাটকাঠি থেকে চারকোল, কম্পোজিট জুট টেক্সটাইল, পাট পাতার পানীয়, জুট  জিও-টেক্সটাইল এবংপলিথিনের বিকল্প ‘সোনালি ব্যাগ’ উৎপাদনের মাধ্যমে পাটখাতে নতুন দিগন্ত উম্মোচন করা সম্ভব হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘পলিথিন ও প্লাস্টিকের অতি ব্যবহারের ফলে সৃষ্ট পরিবেশ বিপর্যয়ের প্রেক্ষাপটে বিকল্প হিসেবে প্রাকৃতিক তন্তু ব্যবহারে বিশ্বব্যাপী নতুন আগ্রহ ও মতৈক্য জোরদার হচ্ছে। পাটের তৈরী বহুমুখী পরিবেশ বান্ধব নতুন পণ্যের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে বিশ্বে পাটের গৌরব পুনরুদ্ধারে কাজ করার জন্য তিনি নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের প্রতি আহ্বান জানান।’

এ সময় আরও জানানো হয়, বহুমুখী পাটজাত পণ্যের প্রায় ৭০০ উদ্যোক্তা ২৮২ প্রকার দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্য উৎপাদন করছেন যার অধিকাংশই বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। বহুমুখী পাটজাত পণ্যকে জনপ্রিয় করতে প্রচার প্রচারণাসহ বিদেশে বিভিন্ন মেলার আয়োজন করা হবে । বহুমুখী পাটজাত পণ্যের মেলা পাটজাত পণ্য উৎপাদনকারী, বিপণনকারী, ব্যবহারকারী এবং বিদেশি ক্রেতাদের মধ্যে অধিক যোগাযোগ স্থাপনে সহায়ক হবে।

এ ধরনের উদ্যোগ যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে পাটকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব হবে। ফলে ঐতিহ্যবাহী এই সোনালী আঁশ দেশের জাতীয় সমৃদ্ধিকে আরও ত্বরান্বিত করবে, মুজিব জন্মশতবর্ষে এ হোক আমাদের অঙ্গীকার।

এমআইআর/এডিবি