ন্যাভিগেশন মেনু

চিনে অধ্যয়নরত ঠাকুরগাঁও’র শতাধিক শিক্ষার্থীর পরিবার উদ্বিগ্ন


চিনে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় এবং প্রাণহানির সংখ্যা দিনদিন বাড়তে থাকায় সেখানে অধ্যয়নরত ঠাকুরগাঁও জেলার শতাধিক শিক্ষার্থীর পরিবারে চলছে এখন উদ্বেগ উৎকন্ঠা।

অনেকে ফোনে ভাল থাকার কথা জানালেও বাবা মায়ের উৎকন্ঠার শেষ নেই। এ অবস্থায় অনেকে তাদের সন্তানদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে সরকারের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ঠাকুরগাঁও জেলার বেশ কিছু শিক্ষার্থী  উচ্চ শিক্ষার জন্য চিনে অবস্থান করছে। তাদের মধ্যে একজন একটি ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশে আশার আকুতি জানিয়েছে। আমার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেষ্টা করছি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঊর্ধ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়ে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোলানখুড়ি গ্রামের খাদেমুল ইসলামের ছেলে মকসেদুল মুমেনিন সফটিয়ার ইন্জিনিয়ারিং পড়তে একবছর আগে চিনে যায়। কৃষক বাবা খাদেমুল ইসলাম উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য ছেলেকে চিনে পাঠিয়ে ছেলের জন্য স্বপ্ন দেখতেন। বর্তমানে চিনে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় এবং দিনদিন মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বাবা-মা সহ পরিবার পরিজন  ও  প্রতিবেশিদের মাঝে চরম উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।

ঠাকুরগাঁও  রোড এলাকার সৈয়দ আব্দুল করিমও সন্তানের বিপদের কথা ভেবে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। দীর্ঘ ৫ বছর আগে পড়াশুনার জন্য চিনে গিয়েছিলেন ছেলে সৈয়দ আশিকুজ্জামান। খুব ভালোই ছিল তার ছেলে সহ পরিবারের অন্যান্যরা। চিনের এই ভাইরাসের কথা শুনার পরেই যেন সবকিছুই এলোমেলো হয়ে গেছে।

এলাকাবাসীও আতংকিত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। এ অবস্থায় টেলিভিশনে খবর প্রচার শুরু হলেই অভিভাবকেরা  ছুটে যাচ্ছেন টিভির সামনে। ফেসবুকে কোন খবর আছে কিনা তাও দেখতে ছুটছেন শিক্ষিত ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কাছে।

ওয়াই এ / এস এস