ন্যাভিগেশন মেনু

ঢাকায় এটিএমবুথ থেকে টাকা তোলার সময় কলকাঠি নাড়া হতো ইউক্রেন থেকে


জালিয়াতি করে ঢাকায় ব্যাংকের এটিএম থেকে যে টাকা তোলা হতো তার কলকাঠি নাড়া হতো সুদূর ইউক্রেন থেকে। ইউক্রেনের জালিয়াত চক্রের সদস্যরা ঢাকার এটিএমবুথে ঢুকে ইউক্রেন থেকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে বুথের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ করে দিতো।

এরপর মেশিনে এটিএম কার্ড ঢুকিয়ে টাকা তুলে নিতো। ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বাড্ডার এটিএম বুথ থেকে এভাবেই তিন লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে

গোয়েন্দা পুলিশ। মঙ্গলবার ঢাকার মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে প্রেসব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল বাতেন।

তিনি বলেন, জালিয়াত চক্রটি ইউক্রেনের মোবাইল সিম রোমিং করে যোগাযোগ করত। তারা একটি ডিসকাউন্ট কার্ড ব্যবহার করে এটিএম বুথ থেকে টাকা বের করে আনত।

গত ১ জুন রাত পৌনে ৮টার দিকে খিলগাঁও থানাধীন তালতলা মার্কেটের বিপরীতে ডাচ্‌-বাংলা বুথে জালিয়াত চক্রের দুই সদস্য নিজেদের চেহারা আড়াল করতে মুখোশ ও টুপি পরিহিত অবস্থায় বুথে ঢোকে।

সিকিউরিটি গার্ড জালাল তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক বলে মনে করে। সন্দেহভাজন দু জনকে ধরার চেষ্টা করলে তারাও পালাতে চায়। এরপর স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় দেনিস ভেতোমস্কি নামে এক বিদেশিকে গ্রেফতার করা

সম্ভব হয়। খবর পেয়ে খিলগাঁও থানা পুলিশের একটি দল সেখানে যায়। তখন জানা যায়, দেনিস ইউক্রেনের নাগরিক। পরে পুলিশ, ডিবি ও সিআইডির একটি যৌথ দল দেনিসকে নিয়ে পান্থপথের ওলিও ড্রিম হোটেলে অভিযান চালায়। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় আরও পাঁচজনকে। 

তারা হলেন ভালোদিমির ত্রিশেনসকি, নাজারি ভজনোক, সের্গেই উকরাইনেতসআলেগ শেভচুক, আলেগ শেভচুক ও ভাটালি কিলিমচুক। তারাও ইউক্রেনের নাগরিক। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, টাকা উত্তোলনের সময় মুখে মাস্ক পরিহিত অবস্থায় ছিল জালিয়াত চক্রের সদস্যরা। চোখে ছিল সানগ্লাস ও মাথায় টুপি।