ন্যাভিগেশন মেনু

ঢাকা-চট্টগ্রামে আন্তর্জাতিক মানের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে করতে হবে: বিএসআরএম এমডি


সম্প্রতি বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেড প্রকৌশল খাতে সর্বোচ্চ আয়কর প্রদানকারী হিসেবে প্রথম, বিএসআরএম স্টিল রিরোলিং মিলস লিমিটেড দ্বিতীয় এবং বিএসআরএম গ্রুপের তিনজন সেরা করদাতা হিসেবে সম্মাননা পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে বিএসআরএম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর আলী হোসেন বলেন, এটা ফিজিবল না হলে প্রপার একটা আন্তর্জাতিক মানের এক্সপ্রেসওয়ে করতে হবে। এটা দেশের লাইফ লাইন। তাই ঢাকা-চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) নগরের সদরঘাটে বিএসআরএমের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।

তিনি বলেন, ২৬০ কিলোমিটার দূরত্ব ঢাকা-চট্টগ্রামের। বিদেশিদের ঢাকা থেকে ফ্লাইটে চট্টগ্রামে আনতে চাইলে বিস্মিত হয়। প্লেনের জ্বালানি, ব্যয় অনেক বেশি। পদ্মা সেতু জরুরি ছিল। বঙ্গবন্ধু টানেল জরুরি ছিল। আমাদের দুইটি কোম্পানি প্রকৌশল খাতে প্রথম ও দ্বিতীয় হয়েছে। আমরা খুবই আনন্দিত, গর্বিত। আমরা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমাদের সম্মান দিয়েছে। জীবনে তো এটাই চাওয়া।

সরকারের কর ফাঁকি দেওয়াকে চুরি আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, সেটি আমাদের পারিবারিক কালচারে নেই। আমরা কমপ্লায়েন্স থাকবো। কেউ যাতে বলতে না পারে আপনি কর দিচ্ছেন না। আমার দাদা, উনার ভাই এ ব্যবসাকে বড় করেছেন। উনারা বলে গেছেন, কোনো ব্যবসায় যদি চুরি করতে হয় সেটি বন্ধ করে দেবে। অন্য ব্যবসা খুঁজবে। ইস্পাত ছাড়া আমাদের আর কোনো ব্যবসা নেই। আমরা সবসময় কর দিয়ে আসছি। আমরা যা আয় করি তা বিনিয়োগ করে দিই। কর দিই। কর দিয়ে জনগণ যা পাচ্ছে তা জানাতে হবে। নাগরিকদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ, স্ট্রিট লাইট দিচ্ছে করের টাকায়। এগুলো বললে ছোট বড় সবাই কর দেবে। তিনি বলেন, ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। উৎপাদনে খরচ বাড়ছে। এটা চ্যালেঞ্জ। আমাদের দেশে যে অবকাঠামো আছে তার নিচে নামতে পারবো না। আরও অনেক উপরে যেতে হবে। ঢাকায় একটি মেট্রোরেল হয়েছে। এমআরটি আরও দরকার আছে। আমরা চাই, দেশের সাথে সাথে আমাদের শিল্পও সমৃদ্ধ হবে। আমরা দেশের চাহিদা পূরণ করবো। কোয়ান্টিটি ও কোয়ালিটি মেটাবো। বিশ্বে যদি নতুন প্রযুক্তি, স্ট্যান্ডার্ড বের হয় সেটি আমরা দ্রুত নিয়ে আসতে চাই। ষাট-আশির দশকে ইনফরমেশন বা জ্ঞান ছিল মূল্যবান। এখন ইনফরমেশনের মূল্য নেই বললেই চলে। এখন মূল্য হচ্ছে কত দ্রুত আপনি নতুন প্রযুক্তি কাজে লাগাচ্ছেন। আমাদের ফিলোসফি হচ্ছে সবসময় নতুন প্রযুক্তি, স্ট্যান্ডার্ড নিয়ে আসা। এর সঙ্গে মানুষকে খাপ খাওয়াতে প্রথম দিকে লোকসান দিতে হয়। তবু আমরা সেটি চাই।

"দেশ অনেক দূর এগিয়েছে। একসময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রডবোঝাই ট্রাক চুরি হতো। এখন সেই সুযোগ নেই। আগে রোড সিঙ্গেল ছিল। চুরি করে কোথাও, কোনো বাসায় লুকিয়ে থাকতো। এখন কেউ চাইলেও লুকিয়ে থাকতে পারে না। এখন খবর বেরিয়ে যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা, দক্ষতা বাড়ায় কেউ কিছু গোপন করতে পারে না। এত বড় মহাসড়ক, চুরি করা কঠিন হয়ে গেছে।"

১৩ টনের বাধা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আইন সবার জন্য সমান হতে হবে। এটি চট্টগ্রামের শিল্প, ব্যবসার জন্য লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরিতে বাধা। হয় সব জায়গায় লাগাতে হবে স্কেল। ১৩ টন খুবই কম। হয় সড়ক ডিজাইনে সমস্যা আছে। নয়তো চিন্তাভাবনায় সমস্যা আছে। বেশি পণ্য আনা-নেওয়া করতে পারলে আপনি সময়, জ্বালানি, ভাড়া কমাতে পারবেন।