ন্যাভিগেশন মেনু

দ্বৈত এনআইডি মামলায় ২ দিনের রিমান্ডে ডা. সাবরীনা


প্রথম জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় জাতীয় পরিচয়পত্র নেওয়ায় অভিযোগে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া সনদ দিয়ে প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত জেকেজি'র চেয়ারম্যান, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে বহিষ্কৃত চিকিৎসক সাবরিনা শারমিন হুসাইনের বিরুদ্ধে করা মামলায় দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ আদেশ দেন। আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে মঙ্গলবার ডা. সাবরিনাকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মমিনুল ইসলাম।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, সাবরিনা কে বা কার সহায়তায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে দ্বিতীয়বার এনআইডি নিয়েছেন এবং তার হেফাজতে অন্য কোনো ভুয়া এনআইডি কার্ড আছে কিনা। থাকলে তা উদ্ধারসহ এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ রিমান্ডের প্রয়োজন।

এর আগে ৩০ আগস্ট রাতে নির্বাচন কমিশনের গুলশান থানার নির্বাচন অফিসার মমিন মিয়া বাড্ডা থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার এজহারের তথ্য অনুযায়ি, ‘সাবরিনা ২০০৯ সালে হালনাগাদের সময় মোহাম্মদপুর এলাকায় ভোটার হন। সেই এনআইডিতে তার নাম সাবরিনা শারমিন হোসেন, বাবার নাম সৈয়দ মুশাররফ হোসেন, মায়ের নাম কিশোয়ার জেসমীন, স্বামী আর এইচ হক, জন্ম তারিখ ২ ডিসেম্বর ১৯৭৮, পেশা সরকারি চাকরি এবং বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা পিসিকালচার হাউজিং সোসাইটি, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।’

তার দ্বিতীয় এনআইডির নিবন্ধন হয়েছে ২০১৬ সালে, ‘সেখানে তার নাম সাবরিনা শারমিন হুসেন, বাবার নাম সৈয়দ মুশাররফ হুসেন, মায়ের নাম জেসমিন হুসেন, স্বামী আরিফুল চৌধুরী, জন্ম তারিখ ২ ডিসেম্বর ১৯৮৩, পেশা চিকিৎসক এবং বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা বাড্ডার আনোয়ারা ল্যান্ডমার্ক, ঢাকা।’

তার দুটি জাতীয় পরিচয়পত্রই বর্তমানে সচল।  জাতীয় পরিচয়পত্র দুটিতে ভিন্ন তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। একটিতে বয়স পাঁচ বছর কমানো হয়েছে। দুটি এনআইডিতে স্বামীর নামও ভিন্ন। একাধিক স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা ব্যবহার করে ভোটার হয় সাবরীনা।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস পরীক্ষার টেস্ট না করেই রিপোর্ট ডেলিভারি দেওয়ার অভিযোগে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরীনা চৌধুরীকে ১২ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়।

ওয়াই  এ/এডিবি