ন্যাভিগেশন মেনু

নির্মাণাধীন ভবনে অনিয়ম পেলেই ব্যবস্থা: এলজিআরডি মন্ত্রী


নির্মাণাধীন সরকারি-বেসরকারি ভবনে যদি অনিয়ম পাওয়া যায় তাহলে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

শনিবার (১০ জুলাই) সকালে রাজধানীর গুলশানে শাহাবুদ্দিন পার্কে চিরুনি অভিযানের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘রবিবার থেকে দশটি অঞ্চলে ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করা হবে। যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা না ফেলে নির্ধারিত স্থানে ময়লা ফেলবেন আপনারা।‘

মন্ত্রী বলেন, ‘সিটি কর্পোরেশনের কাজ সিটি কর্পোরেশন করে যাবে তবে নাগরিকদের শর্ত পালন করতে হবে। যার যার বাড়ির আঙিনা নিজ দায়িত্বে পরিষ্কার করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘রাজধানীতে কিছুসংখ্যক মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। সবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার এখনই সময়। তবে ডেঙ্গু নিয়ে এখনো আতঙ্কিত হওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়নি।’

তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ে ২০১৯ সালের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে ২০২০ সালে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে সফলতা দেখিয়েছি। আজকে আমরা লক্ষ্য করছি এখনো আতঙ্কিত হওয়ার অবস্থায় আসে নাই। কিছু সংখ্যক ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে এবং এডিস মশা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ এখনই সময় সবাই এক সাথে ঝাঁপিয়ে পড়ার। কেননা করোনাকালীন সময়ে মানুষ এমনিতেই ভীত-সন্ত্রস্ত আতঙ্কিত এবং করোনা বৃদ্ধি পাচ্ছে এর সাথে যদি ডেঙ্গু রোগ বৃদ্ধি পায় তাহলে স্বাভাবিকভাবে মানুষের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক হবে। অতএব আমরা যারা জনগণের জন্য দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার নিয়ে জনপ্রতিনিধি হয়েছি এবং সরকারি কর্মকর্তা সবাই মিলে এক সাথে কাজ করলে আমাদের কোন সমস্যাই সমস্যা হবে না।

এ সময় ডিএনসিসি’র মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লে. কর্নেল মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ার, অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল বাকী, ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পারসিয়া সুলতানা প্রিয়াংকা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমদাদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এমআইআর/এডিবি/