ন্যাভিগেশন মেনু

‘ভাইরাল’ তানিম এখন সভাপতি

নোয়াখালী কলেজ ছাত্রলীগের নতুন কমিটি

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের  কেন্দ্রীয় নেতারা নোয়াখালী সরকারি কলেজ শাখার নতুন কমিটিতে বিতর্কিত এক নেতাকে শীর্ষ পদ দিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন।

গত শুক্রবার আবু নাঈম তানিমকে সভাপতি করে নোয়াখালী সরকারি কলেজ শাখার নতুন কমিটির শীর্ষ নেতাদের নাম ঘোষণা করেছে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। নতুন এই সভাপতির বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ ও পরীক্ষার হলে ‘অনৈতিক’ কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।

একাধিক সুত্র থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর পাবলিক পরীক্ষা চলাকালে আবু নাঈম তানিম এবং তার সহকর্মীরা আইন লঙ্ঘন করে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করে এবং কর্তব্যরত শিক্ষকের সাথে দুর্ব্যবহার করার প্রমান রয়েছে। সেসময় ওই ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। শিক্ষকের সাথে মারমুখী এই ভিডিও ৯৮ লক্ষ বার দেখেছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা। এছাড়া ৪৫ হাজার ব্যক্তি এই ভিডিওতিতে কমেন্ট করেছিলেন।

সে ঘটনা তদন্তে কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কাছে চিঠিও দেয়। একইসঙ্গে ঘটনার প্রতিবাদে কলেজের শিক্ষক পরিষদও লিখিত বিবৃতি দিয়েছিলেন। শিক্ষকেরা ধারাবাহিকভাবে তাদের উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েও কোন প্রতিকার পান নি।

২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর নোয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সালমা আকতার স্বাক্ষরিত এক অভিযোগপত্র নোয়াখালী সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে পেশ করা হয়। অভিযোগপত্রে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করে বলা হয়, ১৩ই নভেম্বর রোববার এইচএসসি ইংরেজি ২য় পত্রের পরীক্ষার শেষে আনুমানিক ১:৩০ সময় ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র আবু নাঈম তানিমের নেতৃত্বে কতিপয় ছাত্র হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক জনাব মো: আব্দুর রাজ্জাক-এর সাথে পাবলিক পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে অশোভন আচরণ করে।

একই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরেকটি অসদাচরণের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর নোয়াখালী সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতি কলেজটির অধ্যক্ষ বরাবর প্রতিবাদলিপি দেয়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আবু নাঈম তানিম নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বাংলাদেশ পোস্ট'কে বলেন,  ঘটনাটি আসলে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ ছিল। তিনি কোন অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না বলে দাবি করেন। "আমি এখন স্নাতকোত্তর-স্তরের ছাত্র," তিনি যোগ করেন।

এ প্রতিবেদক ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ এনানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।