ন্যাভিগেশন মেনু

চট্টগ্রামে চ্যানেল 24 সংবাদকর্মী সেলিমের ওপর হামলা, অপরাধীরা জামিনে মুক্ত



চট্টগ্রাম নগরে যুবলীগের দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে হামলায় আহত হয়েছেন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের স্টাফ ক্যামেরাপারসন সেলিম উল্লাহ।  

রোববার (২১ এপ্রিল) রাত সোয়া ১০টার দিকে নগরের মনসুরাবাদ ডিবি অফিসের পাশে ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনায় পুলিশ মূল হোতা ছাড়া ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল। কিন্তু সোমবার সিএমএম-৬ শরিফুল ইসলাম আদালত থেকে সবাই জামিনে মুক্তি পান।  

রোববার (২০ এপ্রিল) রাত সোয়া দশটার দিকে নগরীর মনসুরাবাদ ডিবি অফিসের পাশে ঘটনাটি ঘটে। এসময় এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় যুবলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন ও তার অনুসারিদের সাথে প্রতিপক্ষের সংঘর্ষ বাঁধে।  

হামলায় আহত সেলিম জানান, সংঘর্ষ ঘটনা চলাকালে তিনি মোবাইলে ভিডিও ধারণ করছিলেন। এতে ক্ষিপ্র হয়ে তার ওপর হামলা চালায় সাদ্দাম হোসেন এবং তার অনুসারিরা। একসময় মারতে মারতে তাকে নিয়ে যায় পাশের একটি খালি জায়গায়। সেখানে মারধর ও অকথ্য ভাষায় গালাগালির একপর্যায়ে সেলিমকে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা চালায় সন্ত্রাসীরা। পরে স্থানীয়দের তৎপরতার মুখে পিছু হটে সাদ্দাম বাহিনীর সদস্যরা। ফলে প্রাণে রক্ষা পান সেলিম। সন্ত্রাসীরা তার ভিডিও ধারণ করা মোবাইলটি ভেঙে ফেলে। 

পরে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয় আহত সাংবাদিক সেলিমকে। এতে তাঁর চোখ এবং পায়ের লিগামেন্টে আঘাত লেগেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।  

উক্ত হামলার ঘটনায় রাতে ডবলমুরিং থানায় মামলা করা হয়েছিল। পরে মামলায় ডবলমুরিং থানা পুলিশ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা করেন। তবে এখনো পলাতক রয়েছে মূলহোতা সাদ্দাম হোসেন।  

ডবলমুরিং থানার ওসি ফজলুল কাদের পাটোয়ারী বলেন, ভ্যান গাড়ি নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ হয় দুই গ্রুপের। সাংবাদিক সেলিম বাসাও ওই পথ দিয়ে যেতে হয়। তিনি দায়িত্বরত কর্তব্য পালনের সময় মোবাইল ভিডিও ধারণ করলে তখন তার উপর হামলা করেন। আমরা সাদ্দামসহ পলাতক অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছি। সবাইকেই আইনের আওতায় আনা হবে।  

এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, নগরের মনছুরাবাদ এলাকায় ফুটপাতে অবৈধ ফার্নিচার মার্কেট গড়ে তোলা সাদ্দাম মূলত একজন কিশোর গ্যাং লিডার। শুধু ফুটপাত নয় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের বিশাল জায়গা দখলে নিয়ে সাদ্দাম গড়ে তুলেছে ফার্নিচারের গোডাউন। তার বাহিনীর চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, ছিনতাই সহ নানা অপকর্মে অতিষ্ঠ। এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে কথা বলতেও ভয় পান এলাকার স্থানীয়রা। এসব সন্ত্রাসীর দাপটের কাছে অসহায় স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সাদ্দাম মহানগর আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতার অনুসারি হিসেবে এলাকায় পরিচিতি।