ন্যাভিগেশন মেনু

করোনায় মারা গেলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী চিত্রসম্পাদক


করোনার সঙ্গে লড়াই করে না ফেরার দেশে চলে গেলেন চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী খ্যাতিমান চিত্রসম্পাদক আমিনুল ইসলাম মিন্টু।

শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ৭টা ৩১ মিনিটে রাজধানীর স্পেশালাইজড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে এই গুণী চিত্রসম্পাদকের বয়স হয়েছিলো ৮১ বছর।

তার মৃত্যুর খবরটি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন চলচ্চিত্র পরিচালক দেবাশীষ বিশ্বাস। এই পরিচালকের প্রথম সিনেমা ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’-এর চিত্রসম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন আমিনুল ইসলাম মিন্টু।

দেবাশীষ বলেন, ‘মিন্টু আংকেল ছিলেন আমার অভিভাবক। বাবার সঙ্গে তার সখ্যতা ছিলো দারুণ। দুজন দুজনকে নাম ধরে ডাকতেন। আমিনুল ইসলাম মিন্টু আংকেল তার দীর্ঘ কর্মজীবনে ৪ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয় করেছেন। তারমধ্যে দুটি সিনেমাই ছিলো বাবার সঙ্গে। আমারও পরম সৌভাগ্য যে আংকেল আমার প্রথম সিনেমার চিত্র সম্পাদনা করেছেন। উনার মতো গুণী মানুষের চলে যাওয়া মানে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির অভিভাবক শূন্য হয়ে যাওয়া। মিন্টু আংকেলের বিদেহি আত্মার শান্তি কামনা করছি।’

জানা যায়, আজ শনিবার বাদ জোহর বনানী কবরস্থানে সমাহিত করা হবে আমিনুল ইসলাম মিন্টুকে।

১৯৩৯ সালের ৫ আগস্ট সিরাজগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন এই খ্যাতিমান চিত্রসম্পাদক। ১৯৬০ সালে প্রখ্যাত চিত্রসম্পাদক বশীর হোসেনের সহকারী হিসেবে ‘চান্দা’ সিনেমা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। একক চিত্রসম্পাদক হিসেবে তার প্রথম কাজ করা মুস্তাফিজ পরিচালিত ‘পয়সে’ সিনেমার মাধ্যমে। এটি মুক্তি পায় ১৯৬৩ সালে।

১৯৮৬ সালে ‘আঘাত’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ চিত্রসম্পাদক হিসেবে প্রথম পুরস্কার লাভ করেন তিনি। এরপর ১৯৮৭ সালে দিলীপ বিশ্বাসের ‘অপেক্ষা’, ১৯৯০ সালে ‘গরীবের বউ’ এবং সর্বশেষ ১৯৯৬ সালে দিলীপ বিশ্বাসের ‘অজান্তে’ সিনেমার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।

সর্বশেষ ২০০০ সালে চিত্র সম্পাদনা করেছেন আমিনুল ইসলাম মিন্টু। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি চিত্রসম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন মালা, আখেরি স্টেশন, তালাশ, পায়েল, আনাড়ি, চকোরী, চান্দ অর চাঁদনী, পীচঢালা পথ, দাগ, বিজলী, দি রেইন, কি যে করি, জাদুর বাঁশী, আসামী হাজির, সারেং বউ, অঙ্গার, দাবী, আসামী, ফকির মজনু শাহ, অনুরাগ, সোহাগ, জিঞ্জির, আরাধনা, ভাঙ্গা গড়া, আঘাত, অপেক্ষা, গরীবের বউ, অজান্তে প্রভৃতি সিনেমায়।

ওআ/