ন্যাভিগেশন মেনু

প্রথম স্ত্রী আসার খবরে দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা


কুড়িগ্রামের উলিপুরে সতীন আসার খবরে সুমা আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে।

মঙ্গলবার (১৫ জুন) গভীর রাতে উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের বাবুপাড়া এলাকায় আত্মহত্যা করেন সুমা।

বুধবার (১৬ জুন) খবর পেয়ে পুলিশ সুমার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।

জানা গেছে, ‘গত তিন বছর আগে ওই গ্রামের দবির আলীর ছেলে মমিনুল হক গাজীপুরে গার্মেন্টসের চাকুরির সুবাদে টাঙ্গাইলের গোপালপুর হাদিরা গ্রামের ফরহাদ আলীর মেয়ে সুমা আক্তারকে বিয়ে করেন। সুমা ও মমিনুলের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। সন্তান প্রসবের জন্য সুমা টাঙ্গাইলে বাবার বাড়িতে এলে এ সুযোগে মমিনুল তার প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে সংসার শুরু করেন।

গত ৪ মাস আগে প্রথম স্ত্রী কল্পনা বেগম সন্তান প্রসবের জন্য বাবার বাড়িতে গেলে, দ্বিতীয় স্ত্রী সুমা তার এক বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান নিয়ে মমিনুলের বাড়িতে হাজির হন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মনমালিন্য চলে আসছে।

বুধবার সকালে মমিনুলের প্রথম স্ত্রী কল্পনা বেগম স্বামীর বাড়িতে আসার কথা। প্রথম স্ত্রী বাড়িতে আসার খবরটি কিছুতেই মানতে পারছিলেন না দ্বিতীয় স্ত্রী সুমা আক্তার। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে খাবার খেয়ে মমিনুল ও সুমা আক্তার একই বিছানায় ঘুমিয়েছিলেন। পরে রাতের কোন এক সময় সবার অজান্তে পাশের একটি রুমের আঁড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে তিনি।

এ বিষয়ে উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা বেশকিছু আলামত সংগ্রহ করেছি। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যাই মনে হয়েছে। বুধবার দুপুরে মরদেহ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে প্রকৃত তথ্য জানা যাবে।’

এসআই/এমআইআর/এডিবি