ন্যাভিগেশন মেনু

প্রথা মেনে টোকিও অলিম্পিকে দেড় লক্ষেরও বেশি কন্ডোম পাবেন অ্যাথলিটরা


প্রতিবারের মতো এবারও ট্র্যাডিশন বজায় রেখে অ্যাথলিটদের হাতে কন্ডোমের প্যাকেট তুলে দিতে চলেছে টোকিও অলিম্পিকের  আয়োজকরা। কিন্তু সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে অদ্ভুত এক শর্ত।

কন্ডোম সঙ্গে থাকলেও তা ব্যবহার করা যাবে না! মানে জিভে জল আনা সব পদ থালায় সাজিয়ে দেওয়ার পর খেতে বারণ করার মতো আর কী! কিন্তু কেন এমন নিদান? তাহলে কন্ডোমের প্যাকেট কেনই বা বিলি করা হবে?

গত বছরই টোকিওতে অলিম্পিকের আসর বসার কথা ছিল। কিন্তু অতিমারীর কোপে তা পিছিয়ে যায়। বহু বাধা বিপত্তি পেরিয়ে শেষমেশ আগামী মাসে শুরু হতে চলেছে ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’। প্রস্তুতিও প্রায় শেষ। অন্যান্যবারের মতো এবারও এই বিরাট ইভেন্টে অংশগ্রহণকারী অ্যাথলিটদের রাখা হয়েছে অলিম্পিক ভিলেজে। সেখানেই বিগত বছরগুলির মতো তাঁদের হাতে দেওয়া হবে কন্ডোমের প্যাকেট।

এবার ১লক্ষ ৬০ হাজারেরও বেশি কন্ডোম বিলি করা হবে। কিন্তু যেভাবে করোনা ভাইরাস এখনও সর্বত্র দাপট দেখিয়ে চলেছে, এমন পরিবেশে দেশের থেকে দূরে খেলার জন্য এসে সেই কন্ডোম ব্যবহার না করারই পরামর্শ দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। সংক্রমণ ঠেকাতেই যে এই সতর্কবার্তা, তেমনটাই পরিষ্কার করে জানানো হয়েছে। তাহলে নিরাপদ যৌনতার জন্য কেন এই ‘সুরক্ষাকবচ’ দেওয়া হল?

আয়োজক কমিটির দাবি, টোকিও অলিম্পিকের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবেই কন্ডোম বিলির সিদ্ধান্ত। এটি ব্যবহার না করে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার আবেদনই জানানো হবে। আর ঠিক সেই কারণেই ভিলেজে থাকাকালীন অ্যাথলিটরা কন্ডোম   পাবেন না। ইভেন্ট থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ি ফেরার ঠিক আগে তাঁদের হাতে ‘স্মৃতিচিহ্ন’ হিসেবে ধরিয়ে দেওয়া হবে এই প্যাকেট। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি জানিয়েছে, “আমাদের উদ্দেশ্য অলিম্পিক ভিলেজে অ্যাথলিটদের কন্ডোম ব্যবহারে বাধা দেওয়া নয়। বরং এটি ব্যবহার না করে অতিমারী আবহে সামাজিক সচেতনতা তৈরি করা। তাঁরা সেটি বাড়ি নিয়ে গিয়ে নীরবেই সকলকে সতর্কবার্তা দেবেন।”

উল্লেখ্য করোনা কালে অলিম্পিক আয়োজিত হওয়ায় এবার অনেক বেশি নিয়মের মধ্যে থাকতে হবে অ্যাথলিটদের। বায়ো-বাবলের মধ্যে থাকা, ভিড়ে শামিল না হওয়া, দূরত্ব বিধি মেনে চলার মতো নানা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। অলিম্পিক ভিলেজের বাইরে বেরনোও নিষেধ। এমনকী ভেন্যুতে মদ বিক্রি ও মদ্যপানেও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এবার জানিয়ে দেওয়া হল, কন্ডোমও ব্যবহার করতে পারবেন না তাঁরা।

এস এস