ন্যাভিগেশন মেনু

চট্টগ্রামে ১১৫ তম জব্বারের বলি খেলা ট্রফি ও জার্সি উন্মোচন, বলী খেলা ২৫ এপ্রিল


প্রতিবছরের ন্যায় এবারও শুরু হতে যাচ্ছে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলী খেলা ও বৈশাখী মেলার ১১৫তম আয়োজন লালদিঘী ময়দানে ২৪, ২৫ ও ২৬ এপ্রিল তিন দিনব্যাপী হবে। বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে পূর্ব নির্ধারিত ১২ ই বৈশাখের নির্দিষ্ট এই দিনেই চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানাধীন লালদীঘী মাঠের উন্মুক্ত মঞ্চে মেলাটি আয়োজন করা হয়। যাতে অংশ গ্রহন করেন সারা দেশ থেকে আসা সেরা কুস্তীগীররা। ইতোমধ্যে  আসন্ন মেলার আয়োজনকে ঘিরে মেলা কমিটির সব রকমের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে।


শুক্রবার বিকেলে লালদীঘিস্থ চসিক পাবলিক লাইব্রেরীস্থ মিলনায়তনে ঐতিহাসিক জব্বারের বলী খেলা ও বৈশাখী মেলা উপলক্ষে ট্রফি, জার্সি উন্মোচন করেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী। এসময় মেলা কমিটির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

এবারের বলী খেলা ও মেলার সাথে অনুষ্ঠিত হবে চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসব ২৬ এপ্রিল লালদিঘী মাঠে । তিনদিনব্যাপী বৈশাখী মেলা আগামী ২৪ থেকে ২৫ ও ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।

জানা যায়, চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী এ মেলাটির রয়েছে ঐতিহাসিক তাৎপর্যও। বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাথে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর যুদ্ধে পরাজিতবল হওয়ার পর তৎকালীন অবিভক্ত ভারতবর্ষের ভুখন্ডে ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠার পথ সূচিত হয়।যা পরবর্তীতে বাংলার মানুষের বিষফোড়া হয়ে দাঁড়ায়। একসময় ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যুবসমাজকে উদ্বুদ্ধ করতে এবং যুব সমাজের মনোবল বৃদ্ধির প্রয়াসে ১৯০৯ সালে এই বলি খেলার সূচনা করেছিলেন বকশীর হাটের সেসময়ের একজন ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার সওদাগর। কালের বিবর্তনে সেই খেলাটিই আবদুল জব্বারের বলি খেলা নামে পরিচিতি লাভ করে।অবাক ব্যাপার হলো এতো বছরেও জনপ্রিয়তায় এতটুকুও ঘাটতি নেই এই মেলাটির।

খেলার আগের দিন থেকে শুরু করে পরদিন পর্যন্ত তিনদিন ধরে লালদিঘির মাঠ ও মাঠ সংলগ্ন কয়েক কিলোমিটার জায়গাজুড়ে বসে বৈশাখী মেলা।

চসিক ৩২ নং আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আবদুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা এবং মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি জহুর লাল হাজারী বলেন, ‘১৯০৯ সালে এই মেলার আয়োজন শুরুর পর কখনও বন্ধ হয়নি।তবে কোভিডের সময় স্বাস্থ্যঝুকি এড়াতে ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বসম্মতিক্রমে মেলার ১১১ ও ১১২তম আসর বাতিল করা হয়েছিল।এবারও(২৫ এপ্রিল) চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলী খেলা ঐতিহ্যবাহী লালদিঘী ময়দানে শুরু হবে। একদিন আগেই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ইচ্ছুক বলীরা চট্টগ্রামে অবস্থান করবেন। একসময়ের বলীর রাজ্য হিসেবে পরিচিত ‘চট্টগ্রাম’ আজও এ খেলা ধরে রেখেছে। এখানে আঞ্চলিক ভাষায় কুস্তিকে বলী বলা হয়। এই খেলায় অংশগ্রহণকারীদের বলা হয় ‘বলী’। এবারও রেকর্ড সংখ্যক বলী অংশগ্রহণ করবে। জব্বারের বলী খেলার পৃষ্ঠপোষকতায় এবারে এগিয়ে এসেছে চট্টগ্রামেরই প্রতিষ্ঠান এনএইচটি হোল্ডিংস লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এনএইচটি স্পোর্টস কমপ্লেক্স। জব্বারের বলী খেলাকে কেন্দ্র করে  চট্টগ্রামে আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।