ন্যাভিগেশন মেনু

ফ্রন্ট লাইন যোদ্ধা ডা. মঈনকে মাশরাফীর ‘স্যালুট ’


করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বুধবার (১৫ এপ্রিল) সকালে মারা যাওয়া সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দিনকে ‘স্যালুট ’ জানিয়েছেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা।

বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) নিজের ফেসবুকে পেজে এক শোক বার্তায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ফ্রন্ট লাইনের এই যোদ্ধার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন তিনি।

এদিকে অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দিনের মৃত্যুতে শোকাহত পুরো জাতি। করোনা ক্রান্তিকালে মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত নিজের জীবনের সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে একজন মানবসেবী হিসেবে মানুষের সেবা করে গেছেন তিনি।

মাশরাফী বার্তাটি বাংলাদেশ পোস্টের পাঠাকের জন্য হুবুহু তুলে ধরা হলো:

সবাইকে শোকে ভাসিয়ে চলে গেলেন এক মহৎ প্রাণ ডাক্তার! করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গতকাল সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক মানবিক ডা. মো. মঈন উদ্দিন চলে গেলেন না ফেরার দেশে!

তিনি ছিলেন করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ফ্রন্ট লাইনের যোদ্ধা। তাঁর এই মৃত্যু হৃদয় বিদীর্ণ করার মতো।

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের ছোবলে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশও আক্রান্ত। দেশের এই মহাক্রান্তিকালে ডা. মঈন উদ্দিন ছিলেন দেশের মানুষের জন্য আত্মোৎসর্গীকৃত। মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত একজন মানবসেবী হিসেবে মানুষের সেবা করে গেছেন তিনি। নিজের জীবনের সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে মানুষকে তিনি চিকিৎসাসেবা দিয়ে গেছেন।

মানুষের প্রতি, দেশের প্রতি তার এই আত্মত্যাগ শব্দ-বাক্যে প্রকাশের মত নয়। মানবতার জয়গান গাওয়া ক্রান্তিকালের এই যোদ্ধাকে নিশ্চয় গোটা জাতি আজীবন পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে।

আমি তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। সবশেষে আমি এই বীরযোদ্ধাকে জানাচ্ছি- ‘স্যালুট ’।

উল্লেখ্য গত ৫ এপ্রিল সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দিনের করোনা আক্রান্তের রিপোর্ট পজেটিভ আসায় নগরীর হাউজিং এস্টেট এলাকায় তাঁর নিজ বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন।

হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় গত ৭ এপ্রিল রাতে তাঁকে সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত ৮ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৫টায় অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় পাঠানো হয়।

১৫ এপ্রিল ভোর সাড়ে ৪টায় ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

কুর্মিটোলা হাসপাতালের উপপরিচালক বলেন, ‘ডা. মঈন উদ্দিন করোনায় আক্রান্ত হয়ে আমাদের এখানে তিন দিন ধরে ভেন্টিলেশনে ছিলেন। রেসপিরেটরি ফেইলিওরের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়।’

ওয়াই এ/ ওআ