ন্যাভিগেশন মেনু

ফ্লু’র কবল থেকে রক্ষা পেতে করণীয়


আমরা দেখি সাধারণত শীতকালে এবং বর্ষার শেষে ফ্লুর প্রকোপ বেশি দেখা যায়। ফ্লুতে আক্রান্ত হলে বেশিরভাগ মানুষ দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়। তবে অনেক ক্ষেত্রে সময় একটু বেশি লাগতে পারে। 

ফ্লু ও কোভিড ১৯-এর উপসর্গ একই রকম হওয়ায় এ সময় মানুষের মধ্যে কিছুটা আতঙ্কও দেখা দিয়েছে।

ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লু একটি ভাইরাসজনিত রোগ। করোনাভাইরাসের মতো এই রোগেও শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ হয়ে থাকে এবং এর উপসর্গও সর্দিজ্বরের উপসর্গের মতোই।

যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় ৯ শতাংশ মানুষ ফ্লুতে আক্রান্ত হয়। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর সারাবিশ্বে তিন থেকে পাঁচ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। 

ফ্লুর উপসর্গ: সাধারণ সর্দিজ্বর ও ফ্লুর উপসর্গ এক ধরনের হওয়ায় মানুষ অনেক সময় দুটির পার্থক্য করতে পারে না।

ফ্লু হলে সাধারণ সর্দিজ্বরের মতোই মাথাব্যথা, গলাব্যথা, মাংসপেশিতে ব্যথা, হাঁচি, শুকনো কাশি, জ্বর, স্বাদ ও ঘ্রাণের অনুভূতি কমে আসার মতো উপসর্গ দেখা দেয়।

ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, হাঁপানিজনিত সমস্যা বা ক্যান্সারের মতো রোগ থাকলে সাধারণ ফ্লুর সমস্যাও মারাত্মক রূপ ধারণ করতে পারে। 

ঢাকা শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক সাদিয়া সিরাজ বলেন, ফ্লু এবং সর্দিজ্বর থেকে সুরক্ষিত থাকতে কিছু পদ্ধতি মেনে চলতে হবে। 

ফ্লু হলে ঠাণ্ডা খাওয়া ও ঠাল্ডা জায়গা না থেকে উষ্ণ আবহাওয়ার থাকতে হবে। 

পরিমিত বিশ্রাম এবং ঘুম ফ্লু থেকে আরোগ্য দিতে পারে। 

জ্বরের তীব্রতা ও শরীরের ব্যথা কমাতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খান। এ ছাড়া প্রচুর পরিমাণ পানি ও তরল জাতীয় খাবার খেতে হবে। 

ফ্লু আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত ব্যবহার্য জিনিসপত্র থেকেও ফ্লু সংক্রমণ হতে পারে। তাই ফ্লু আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। 

ফ্লুর ভ্যাকসিন দিতে পারেন। এতে ফ্লুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। এই ভ্যাকসিন প্রতিবছর একবার করে দিতে হয়। হার্টের সমস্যা, ক্যান্সার বা ডায়াবেটিসের মতো রোগে যারা ভুগছেন, তাদের ফ্লুর ভ্যাকসিন দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেসজ্ঞ চিকিৎসকরা। 

এস এস