ন্যাভিগেশন মেনু

বাংলাদেশকে ১২২ রানের টার্গেট দিলো অজিরা


পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২১ রান করে সফরকারী অস্ট্রোলিয়া। তাই  দ্বিতীয় ম্যাচ জিততে হলে ১২২ রান করতে হবে বাংলাদেশকে।

বুধবার (৪ আগস্ট) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড। অজিদের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন অ্যালেক্স ক্যারি ও জশ ফিলিপ। মাহেদী হাসানের করা প্রথম ওভার দেখে খেলে মাত্র ১ রান যোগ করেন দুই ব্যাটসম্যান।

নাসুম আহমেদের করা পরের ওভারে দুই চার হাঁকিয়ে ভালো শুরুর আভাস দেন ক্যারি। কিন্তু অতি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন তিনি। মাহেদীকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে নাসুম আহমেদের তালুবন্দী হন এই ওপেনার। এর আগে করেন ১১ রান।

পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে মুস্তাফিজুর রহমানের স্লোয়ারে পরাস্ত হয়ে ১০ রানে বোল্ড হন ফিলিপ। দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন ময়জেস হেনরিক্স ও মিচেল মার্শ। দুজনে মিলে গড়েন ৫৭ রানের জুটি। সাকিবকে সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হন ৩০ রান করা হেনরিক্স।

অল্প সময় পর শরিফুলের বল মিড উইকেট দিয়ে মারতে গিয়ে আউট হন মার্শ। নুরুল হাসানের তালুবন্দী হওয়ার আগে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন তিনি। এরপর আর কেউই উইকেটে টিকে থাকতে পারেননি।

১৮তম ওভারে পরপর দুই বলে দুই উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজুর রহমান। প্রথমে ৪ রান করা অজি অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডকে বোল্ড করেন তিনি। পরের বলে অ্যাস্টন অ্যাগারকে সাজঘরে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগান তিনি। তবে সফল হননি।

অ্যাস্টন টার্নার ফেরেন ৩ রানে। শেষ দিকে মিচেল স্টার্কের ১৩ ও অ্যান্ড্রু টাইয়ের ৩ রানের অপরাজিত দুই ইনিংসের সৌজন্যে লড়াই করার মতো পুঁজি পায় অস্ট্রেলিয়া।

বাংলাদেশের হয়ে একাই ৩ উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজুর রহমান। শরিফুল ইসলাম দুটি এবং সাকিব আল হাসান ও মাহেদী হাসান একটি করে উইকেট শিকার করেন।

ওআ/