ন্যাভিগেশন মেনু

আমেরিকা প্রতিদিন তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে: মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা


চরম উত্তেজনায় ভরপুর আফগানিস্তান। উত্তপ্ত আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরতেই বলতে গেলে গোটা দেশটাই চলে গিয়েছে তালেবানের দখলে। এই পরিস্থিতিতে ২৪ ঘণ্টা আগেই মুখ খুলেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন । এবার তালেবান প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখলেন মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান।

সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়ে দিলেন, তালেবানদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত আলোচনা চালাচ্ছে আমেরিকা। তাঁদের এখন মূল উদ্দেশ্যই হল মার্কিনীদের আফগানিস্তান থেকে যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। সুলিভান বলেন, “রাজনৈতিক এবং নিরাপত্তা স্তরে আমরা প্রতিনিয়ত তালেবানদের সঙ্গে কথা বলছি। কী ব্যাপারে কথা হয়েছে, সে কথা হয়তো এখানে জানাতে পারব না। তবে এটুকু বলতে পারি, একাধিক বিষয়ে দু’পক্ষের মধ্যে কথা হয়েছে।”

এরপরই সুলিভানের সংযোজন, “তালেবানদের ব্যাপারে আমরা কোনও ভুল ধারণা পোষণ করছি না। আমাদের একটাই লক্ষ্য, আমাদের হাতে যে কাজটি রয়েছে, তা দ্রুত শেষ করা। ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে হাজারেরও বেশি মানুষকে দেশে ফেরাতে বদ্ধপরিকর মার্কিন প্রশাসন।”

এর আগে এই প্রসঙ্গে সোমবারই আমেরিকাকে চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি দিয়েছে তালেবান। সেনা সরানোর ডেডলাইন না মানলে ফল ভাল হবে না, বলে আমেরিকাকে শাসিয়েছে তালেবরা। সোমবার তালেবানের মুখপাত্র সুহেল শাহিন স্কাই নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলে, “প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে ৩১ আগস্টের মধ্যে আমেরিকান সেনা সরিয়ে নেওয়া হবে।

যদি সেটা না হয়, তার অর্থ আফগানিস্তানে বাড়তি মার্কিন সেনা রয়েছে। যা থাকার কথা নয়। মনে রাখবেন, ডেডলাইন নয়, ওটা রেডলাইন।” যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন এই ডেডলাইন বাড়ানো হবে কি না ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।

এদিকে, পঞ্জশির এখনও দখল করতে না পারলেও উত্তর আফগানিস্তানের তিনটি জেলা বানো, দেহ সালেহ এবং পুল-ই-হেসার ইতিমধ্যে পুনর্দখল করে নিয়েছে তালেবান। যা গত সপ্তাহে দখল করেছিল নর্দার্ন অ্যালায়েন্স। তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদের টুইটার অ্যাকাউন্ট অনুযায়ী, তিনটি জেলা দখল করে নেওয়ার পর পঞ্জশির উপত্যকার বাদাখশান, তখর এবং আনদারাবের কাছে অবস্থান করছে তালেবান।

এস এস