ন্যাভিগেশন মেনু

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ৩১ মে


করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতিতে ৩১ মে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত হচ্ছে।

জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল থেকে জানানো হয়েছে, ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালিত হবে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে বৃহৎ পরিসরে কোন কর্মসূচী রাখা হয়নি। ‘তামাক কোম্পানির কূটচাল রুখে দাও; তামাক ও নিকোটিন থেকে তরুণদের বাঁচাও’- প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে অনলাইনে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের আলোচনা সভার ছাড়া ক্রোড়পত্র প্রকাশ, অনলাইনে প্রেসব্রিফিং, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে।

এছাড়াও দেশব্যাপী বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটসহ বিভিন্ন তামাক বিরোধী সংগঠনসমূহ দিবসটি উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনলাইন আলোচনা সভা, অনলাইন মানববন্ধন, অনলাইন পোস্টার ক্যাম্পেইন, ফেসবুক প্রোফাইল ফ্রেম পরিবর্তন, সচেতনতামূলক ভিডিও শেয়ারসহ নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে জানা গেছে।

বর্তমান করোনা পরিস্থিতির ঝুঁকি আরও বেড়েছে ধূমপানের কারণে। বিশেষ করে তরুণরা করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিতে আছে ধূমপানের কারণে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। তরুণদের মধ্যেই ধূমপানের প্রবণতা বেশী রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, হৃদরোগের কারণ হিসেবে উচ্চ রক্তচাপের পরেই তামাক ব্যবহারের অবস্থান। তামাক ব্যবহারের কারণে প্রায় ১২ শতাংশ হৃদরোগজনিত মৃত্যু হয়। বাংলাদেশে ৪৩ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৪ কোটি ১৩ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক সেবন করেন, যার মধ্যে ২৩ ভাগ (২ কোটি ১৯ লাখ) ধূমপানের মাধ্যমে তামাক ব্যবহার করেন এবং ২৭ দশমিক দুই ভাগ (২ কোটি ৫৯ ল) ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহার করেন। ফলে করোনা পরিস্থিতি তাদের জীবনের ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে, ধূমপায়ীদের করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেশী। কারণ ধূমপানের সময় হাতের আঙ্গুলগুলো ঠোঁটের সংস্পর্শে আসে। আর হাতে বা বিড়ি-সিগারেটের গায়ে লেগে থাকা ভাইরাস মুখে চলে যাওয়ার আশংকা থাকে।

একইসঙ্গে ধূমপানের কারণে আগে থেকেই ফুসফুসের রোগ থাকতে পারে এবং ফুসফুসের কর্মক্ষমতা কমে যেতে পারে। যা করোনাভাইরাস আক্রান্ত হলে গুরুতর অসুস্থ হবার আশংকা বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া ওই সকল রোগীদের অক্সিজেন গ্রহণের ক্ষমতাও কমে যায়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও রোগ গবেষণা কেন্দ্র (আইইডিসিআর) এর ওয়েবসাইটে তুলে ধরা তথ্যে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নারীর চেয়ে পুরুষদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ বেশি। তবে পুরুষদের মধ্যে তরুণদের একটি বিশাল অংশ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে করোনা আক্রান্তদের ২৬ শতাংশই ২১-৩০ বছর বয়সী। যাদের বেশীর ভাগই ধূমপায়ী। ফুসফুস দুর্বল থাকার কারণে তরুণরাই বেশী আক্রান্ত হচ্ছেন বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

সিবি/এডিবি