ন্যাভিগেশন মেনু

ভারত-চিন লাদাখ নিয়ে ১১ ঘণ্টা সামরিক বৈঠক সারলো


লাদাখে মুখোমুখি ভারত ও চিনা বাহিনী। কার্যত বারুদের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে গোটা অঞ্চল। একটিমাত্র স্ফুলিঙ্গ ঘটাতে পারে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ। এহেন অবস্থায় সংঘাতের সমাধান খুঁজতে সোমবার সপ্তম দফার সামরিক বৈঠকে বসেন ভারত ও চিনের সেনাকর্তারা।

সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, সোমবার দুপুরে চুশুল-মলডো সীমান্তে ভারতের দিকে বর্ডার মিটিং পয়েন্টে শুরু হয় দু’পক্ষের বৈঠক। প্রায় ১১ ঘণ্টা ধর আলোচনা চলার পর বৈঠক শেষ হয় রাত ১১.৩০ নাগাদ।

কোর কমান্ডার স্তরের ওই বৈঠকে ভারতের হয়ে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় ফৌজের ১৪ কোরের বিদায়ী কমান্ডার হরিন্দর সিং ও নয়া দায়িত্বপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল পি জি কে মেনন ও বিদেশমন্ত্রকের যুগ্মসচিব নবীন শ্রীবাস্তব।

চিনা ফৌজের তরফে প্রতিনিধিত্ব করেন সাউথ জিনজিয়াং মিলিটারি ডিস্ট্রিক্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল লিউ লিন। সূত্রের খবর, এই প্রথমবার চিনা বিদেশমন্ত্রকের তরফেও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে।

ফলে সংঘাত মিটাতে বেজিংও যে আগ্রহী তা স্পষ্ট। কিন্তু চিনা অভিসন্ধি নিয়ে সন্দিহান ভারত কোনও ফাঁক রাখতে চায় না।  

এদিনের বৈঠকে ভারতের নীতি ঠিক করে দিয়েছে China Study Group (CSG)। এই গ্রুপে রয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত ও ফৌজের তিন বাহিনীর প্রধান। নয়াদিল্লির সাফ কথা লদাখ সীমান্তে এপ্রিলের অবস্থানে ফিরতে হবে চিনকে।

পালটা বেজিংয়ের দাবি, প্যাংগং হ্রদের (Pangong Tso) দক্ষিণ পাড়ে পাহাড় চূড়াগুলির দখল ছাড়তে হবে ভারতীয় বাহিনীকে। কার্যত, নিজের অবস্থানেই অনড় দুই দেশ।

ফলে সপ্তম দফার বৈঠকেও সীমান্ত সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা।

এস এস