ন্যাভিগেশন মেনু

ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ খবর শুনেই বাজার চড়া


ভারত তার অভ্যন্তরীন চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ খবর শুনেই বাজারে দাম বেড়ে গিয়েছে। 

 রবি ও সোমবার কোন পেঁয়াজ আমদানি হয়নি।

বেনাপোল কাস্টম হাউজের সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা বলেনভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে গত দুদিনে কোন পেঁয়াজ আমদানি হয়নি।

বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে পেঁয়াজের একটি বড় আমদানীকারক। ভোক্তাদের চাহিদা একটি বড় অংশ ভারত থেকে আমদানি করা হয়। পেঁয়াজ আমদানী বন্ধ হওয়ার কারনে বাজারে মুল্য বেড়ে যাবে এবং ভোক্তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

 শনিবার সর্বশেষ বেনাপোল বন্দরে খুলনার এক আমদানিকারকের ৮০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

পেঁয়াজ ভর্তি ১৬টি ট্রাক রবিবার  রাতে ভারতের পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। মূলত বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজার নির্ভর করে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির উপর।

 সাধারণ ক্রেতারা জানানভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় বাজারে পেঁয়াজের মুল্য অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে ভোক্তাদের উপর।

 সোমবার  থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের খবর পেয়ে বেনাপোলসহ যশোরে সর্বত্র ৫০ টাকা কেজির পেঁয়াজ ১০০/১১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ মসলা জাতীয় পণ্যের ভিতরে সব থেকে উপকারী ও প্রয়োজনীয় পণ্য।

মাত্র একটা দিনের ব্যবধানে এমন আকাশ ছোয়া দামের কারণে এই পণ্যটি কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। অস্বাভাবিক মুল্য বৃদ্ধিতে পেঁয়াজের ঝাঁজে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ব্যবসায়ী সহ ক্রেতা সাধারণ।

 আড়তদার ও দোকানীরা জানানযেমন কিনছি তেমন দামেই বিক্রি করছি। এখানে আমাদের কিছুই করার নেই।

আমাদের নিজেদেরও বাড়িতে পেঁয়াজ পাঠাতে কষ্ট হচ্ছে। বাজারে পেঁয়াজ সঙ্কট থাকায় মঙ্গলবার থেকে পেঁয়াজের বাজার মুল্য আরো বাড়তে পারে বলে আশংকা করছেন ব্যবসায়ীরা। 

 যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণ বাজারের বিশিষ্ট আড়ৎ ব্যবসায়ী সলেমান মন্ডল জানান,  হঠাৎ ভারত সরকার পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে দেওয়ায় তার প্রভাব পড়েছে স্থানীয় বাজারে।

মোকাম থেকে আমাদের পেঁয়াজ বেশি দামে কিনতে হচ্ছে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে ১২০ টাকা কেজিতে। আর বাইরের পেঁয়াজ ১০০ টাকা কেজিতে।

তাছাড়া হোলসেলাররা পেঁয়াজ মজুদ করায় পেঁয়াজের কিছুটা কম হয়ে গেছে বাজারে। বাইরের দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি  না করলে পেঁয়াজের মূল্য সহজে কমবে না বলে মনে করেন তিনি।

 এছাড়া চলতি বছরে বন্যায় ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে প্লাবিত হওয়ায় চলতি মৌসুমি পেঁয়াজ উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তাই এ বছর ভারতের বাজারেও পেঁয়াজের মূল্য বেশ চড়াও। তারই পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির সরকার পেঁয়াজ  রফতানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।

আপডেট নিউজ পেতে ভিজিট করুন - Ajker Bangladeshpost

এস এ / এস এস