ন্যাভিগেশন মেনু

ভালোবাসা ও সমর্থনের প্রতিদান দিতে চাই: দেশে ফিরে সাকিব


যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি।

বিমানবন্দরে সাকিবকে স্বাগত জানাতে তার ভক্ত-সমর্থকরা জড়ো হন। বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তিনি গণমাধ্যমে কথাও বলেন।

ফিটনেস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েই সামনের টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটা পুরোপুরি খেলতে চান সাকিব। বলেছেন, আগামী জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাংলাদেশ সফরে আসার কথা। ওই সফরের জন্য এই টুর্নামেন্টটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। টুর্নামেন্টের পুরোটা খেলতে পারলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের জন্য পুরো ফিটনেস ফিরে পাবেন বলেই আশা আছে। তবে নিজেকে আগের মতো জায়গায় নিয়ে যেতে তাড়াহুড়ো করতে চান না।

নিষেধাজ্ঞার সময়টাতে সারাদেশের মানুষের যে ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়েছেন সাকিব, তাতে তিনি আপ্লুত। সেই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে চান ক্রিকেটে সমহিমায় ফিরে। আবারও বলেছেন, ‘আমি দেশের মানুষের ভালোভাসার প্রতিদান দিতে চাই। আগামী দিনগুলোতেও আপনাদের সবার সমর্থন চাই আমি।’ ভক্তরা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি আইসিসির ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষস্থান ফিরে পাওয়া অলরাউন্ডারকে। শুভেচ্ছা বিনিময় পর্বটা হয়েছে করোনাবিধি মেনেই। 

গত ২৯ অক্টোবর নিষেধাজ্ঞামুক্ত হয়েছেন সাকিব আল হাসান। বাজিকরদের কাছ থেকে অফার পেয়ে তা গ্রহণ না করলেও, সেটা নিজ বোর্ড কিংবা আইসিসির কাছে না জানানোর অপরাধে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা ভোগ করতে হয়েছে চ্যাম্পিয়ন অলরাউন্ডারকে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশে ফিরে বিসিবির প্রস্তাবিত টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলবেন সাকিব। এর আগে তার টিমের অনুশীলনেও অংশ নেবেন।

গত সোমবার সাকিবের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র নিশ্চিত করেছে, দেশে ফিরে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুতি শুরু করবেন। যতদূর জানা গেছে, সেটা বিকেএসপিতে নয় বরং দেশের হোম অব ক্রিকেটে।

তার মানে নভেম্বরের ১০ তারিখের মধ্যেই হয়তো শেরেবাংলায় ব্যাট ও বল হাতে অনুশীলনে দেখা মিলবে সাকিবের। তারপর চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে যে পাঁচ দলকে নিয়ে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হবে, সেখানেও খেলবেন সাকিব। বলার অপেক্ষা রাখে না, প্লেয়ার্স ড্রাফট হলে সাকিবকে পেতেই আগ্রহী হবে সব দল।

একবছর পর আবার মাঠে ফেরা মুক্ত সাকিবকে দলে ভেড়াতে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যাবে। প্লেয়ার্স ড্রাফট হলে সাকিবই হবেন সব দলের ফার্স্ট চয়েজ। তাকে নিয়ে নিশ্চিতভাবেই কাড়াকাড়ি পড়ে যাবে এবং এটা সত্য যে, টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে সাকিব আছেন বলেই শেষ পর্যন্ত এটা করপোরেট লিগ হতে যাচ্ছে। মাঠে ফেরা সাকিব হতে পারেন যেকোনো দলের জন্য বড় সম্পদ।

ওআ/