ন্যাভিগেশন মেনু

মায়ার্সের ডাবল সেঞ্চুরিতে জয় পেল উইন্ডিজ


চট্টগ্রাম টেস্টে অভিষিক্ত কাইল মায়ার্সে ভর করে মোমিনুলদের বিপক্ষে অসাধ্যকে সাধন করলেন ক্যারিবিয়রা। শুধু বাংলাদেশ নয়, সফরকারীদের কল্পনায়ও হয়তো আসেনি এমন জয়ের কথা। কাইল মায়ার্সের ডাবল শতকে প্রথম টেস্টে ৩ উইকেটের ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ।

চট্টগ্রাম টেস্টে টাইগারদের জয় বলতে গেলে চোখের সামনেই ছিল। অথচ মায়ার্স অসাধ্য সাধন করল অবিশ্বাস্য দৃঢ়তা দেখিয়ে। তার মহাকাব্যিক ডাবল সেঞ্চুরিতে ভর করেই ৩ উইকেট হাতে রেখেই হেসেখেলে মাঠ ছেড়েছে সফরকারিরা। এই জয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে ক্রেইগ ব্রাথওয়েটের দল।

এর আগে মাত্র চারবার ৩৯৪ রানের বেশি রান তাড়া করে জয়ের ঘটনা ঘটেছে। সর্বোচ্চ ৪১৭ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড অবশ্য এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের দখলে। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ক্যারিবিয়ানরা ইতিহাস গড়ে। তবে ওই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও এই ওয়েস্ট ইান্ডিজের ভেতরে আকাশ-পাতাল ব্যবধান।

ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে অধিনায়ক মুমিনুল হকের টেস্ট ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরির সঙ্গে লিটন দাসের ৬৯ রানের ইনিংসের সুবাদে ৮ উইকেটে ২২২ রানে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৯৫ রানের।

দ্বিতীয় সেশনের প্রায় ৪০ মিনিট বাকি থাকতে ইনিংস ঘোষণা করে দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ে নামানো হয়। প্রথম ৭ ওভারে কোনো উইকেট হারায়নি তারা, রান করে ১৮। পরে মেহেদি মিরাজের ৩ উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দিন শেষ করেছে ৩ উইকেটে ১১০ রান নিয়ে।

ইনিংসের ৫ম ও শেষ দিনের তৃতীয় সেশন থেকে ফিরেই ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। সেশনের শুরুতে এনক্রুমা বোনারকে (৮৬) ফিরিয়ে স্বস্তি এনে দিয়েছিলেন তাইজুল ইসলাম। তাকে অনুসরণ করে এর পাঁচ ওভার পরেই নতুন ব্যাটসম্যান জার্মেইন ব্ল্যাকউডকে (৯) সাজঘরে পাঠিয়েছেন নাইম হাসান। চতুর্থ উইকেটে ৪৪২ বলে ২১৬ রানের জুটি গড়েন বোনার-মায়ার্স।

তবে এতো বড় জুটি গড়ে দিতে অবদান রেখেছে বাংলাদেশের ফিল্ডাররও। দুই-দুবার জীবন পেয়েছেন মায়ার্স।  ৪৯ রানে স্লিপে দেওয়া তার ক্যাচ মিস করেন শান্ত।  এরপর এলবিডব্লিউতে আউট হলেও রিভিউ নেননি মুমিনুল। একইরকম ভুল করা হয়েছে বোনারের বেলায়। তার বেলায়ও রিভিউ নেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। পরে রিপ্লেতে দেখা গেছে, লেগস্ট্যাম্প উপড়ে ফেলত বলটি। জীবন ফিরে পাওয়া সেই বোনার করেছেন ৮৬ রান আর মায়ার্স খেললেন অবিস্মরণীয় ২১০ রানের ইনিংস।

বোনার আউট হওয়ার পাঁচ ওভার পর অফ-স্পিনার নাঈম হাসান বোল্ড করেন জার্মেইন ব্লাকউডকে। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। কারণ ম্যাচজয়ী কাইল মায়ার্স অপরাজিত ছিলেন অপরপ্রান্তে। এরপর রাহকিম কর্নওয়ালের সঙ্গে নিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যান মায়ার্স। ৩০২ বলে ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকান মায়ার্স। এর আগে ৫৯ বলে ২০ রানের ইনিংস খেলে আউট হন জসুয়া।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪৩০ রান করেছিল। জবাবে ২৫৯ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। পরে টাইগাররা নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেট হারিয়ে ২২৩ রানে ইনিংস ঘোষণা করে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: 

বাংলাদেশ : ৪৩০ ও ২২৩/৮ (ইনিংস ঘোষণা)

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২৫৯ ও ৩৯৫/৭

ওয়েস্ট ইন্ডিজ তিন উইকেটে জয়ী

ওআ/