ন্যাভিগেশন মেনু

মিরাজের ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪৩০ রান


অসাধারন ব্যাটিং করে নিজের ইনিংসকে টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত তিন অংকের ঘর ছোঁয়ালেন বাংলাদেশের অফ স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। 

ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে চট্টগ্রাম টেস্টে বড় সংগ্রহ গড়েছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকরা করেছে ৪৩০ রান। ২৬ মাস পর আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে হাফ সেঞ্চুরি করে আর থেমে থাকেননি মিরাজ।

জোমেল ওয়ারিকানের বলে ২ রান নিয়েই ক্যারিবীয় বোলারদের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে ১৬০ বল খেলে সেঞ্চুরি করেন মিরাজ।

সেঞ্চুরির সম্ভাবনা ছিল সাদমান ইসলাম এবং সাকিব আল হাসানের। কিন্তু হাফ সেঞ্চুরি করার পর তারা বেশিদুর এগুতে পারেননি। সাদমান আউট হয়েছেন ৫৯ রানে এবং সাকিব আউট হয়েছেন ৬৮ রানে।

২০১৮ সালের নভেম্বরের পর টেস্টে অর্ধশতক হাঁকিয়েছিলেন মিরাজ। সর্বশেষ ফিফটিটি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ঢাকার শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে তার ব্যাটে রান আসে। এর পর ১২ ইনিংসে মিরাজের ব্যাট কথাই বলেই।  তার সর্বোচ্চ রান ছিল ৩৮। আর আজ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উদার হয়ে উঠেছে এ অফ-ব্রেক বোলারের ব্যাট।

ওয়ারিক্যান-কর্নওয়ালদের অসহায় বানিয়ে সেঞ্চুরি হাঁকালেন তিনি। ১৬২ বলে এ শতকের ইনিংস খেলেন মিরাজ। ১৩ বাউন্ডারিতে এ শতক সাজিয়েছেন মিরাজ। মিরাজের এ সেঞ্চুরিতে অবদান রয়েছে টেলএন্ডার তাইজুল ও নাঈম হাসান। ৭২ বল খেলে মিরাজকে রান বাড়িয়ে নিতে সাহায্য করেছেন তাইজুল। তিনি নিজেও স্কোরবোর্ডে জমা করেছেন গুরুত্বপূর্ণ ১৮ রান।  ১১৭ বলে মিরাজ-তাইজুল জুটিতে এসেছে ৪৪ রান।

শ্যানন গ্যাব্রিয়ালের বলে আউট হওয়ার পর মিরাজকে সঙ্গ দেন ২০ বছর বয়সী নাঈম হাসান। অনভিজ্ঞ নাঈমের সঙ্গে ৬০ রানের জুটি গড়ে ফেললেন তিনি।এর আগে অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে চমৎকার জুটি গড়েন মিরাজ। প্রথম দিন লিটনের পর মিরাজের সঙ্গে জুটি গড়েন সাকিব। ১৫০ বলে ৬৮ রান করে কর্নওয়ালের বলে আউট হন সাকিব।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: 

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৪৩০ (১৫০.২ ওভার)

(সাদমান ৫৯, তামিম ৯, শান্ত ২৫, মুমিনুল ২৬, মুশফিক ৩৮, সাকিব ৬৮, লিটন ৩৮, মিরাজ ১০৩, তাইজুল ১৮, নাঈম ২৪, মোস্তাফিজ ৩*; রোচ ১/৬০, গ্যাব্রিয়েল ১/৬৯, কর্নওয়াল ২/১১৪, মায়ার্স ০/১৬, ওয়ারিকান ৪/১৩৩, ক্রেইগ ০/১৩, বোনার ১/১৬)।

ওয়াই এ/ওআ