ন্যাভিগেশন মেনু

রাজধানীতে ১৭ জুলাই থেকে শুরু কোরবানির পশুর হাট


পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আগামী ১৭ জুলাই থেকে শুরু হয়ে রাজধানীতে কোরবানির পশুর হাট চলবে ২১ জুলাই পর্যন্ত।

সোমবার (১২ জুলাই) দুপুরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুই সিটি করপোরেশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে, ‘রাজধানীর দুই সিটিতে মোট ১৯টি অস্থায়ী গরুর হাট বসানো হবে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মধ্যে ৯টি এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মধ্যে ১০টি।’

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের যেসব এলাকায় ৯টি অস্থায়ী পশুর হাট বসানো হবে সেগুলো হচ্ছে:  মোহাম্মদপুরের বছিলায় ৪০ ফুট সড়ক সংলগ্ন রাজধানী হাউজিং, স্বপ্নধারা হাউজিং ও বছিলা গার্ডেন সিটির খালি জায়গা, উত্তরখান মৈনারটেক শহিদ নগর হাউজিং (আবাসিক) প্রকল্পের খালি জায়গা, বাড্ডা ইস্টার্ন, ভাটারা (সাইদনগর) অস্থায়ী পশুর হাট, সেকশন-৩ এর খালি জায়গা, হাউজিং (আফতাব নগর) ব্লক-ই, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বাচল ব্রীজ সংলগ্ন মস্তুল ডুমনী বাজারমুখী রাস্তার উভয় পাশ্বের খালি জায়গা, কাওলা শিয়ালডাঙ্গা সংলগ্ন খালি জায়গা, উত্তরখান মৈনারটেক শহিদ নগর হাউজিং (আবাসিক) প্রকল্পের খালি জায়গা, উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টর এলাকায় অবস্থিত বৃন্দাবন হতে উত্তর দিকে বিজিএমইএ পর্যন্ত খালি জায়গা এবং ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন ৩০০ ফুট সড়ক সংলগ্ন উত্তর পাশের সালাম স্টিল লিমিটেড ও যমুনা হাউজিং কোম্পানি এবং ব্যক্তিমালিকানাধীন খালি জায়গায় পশুর হাট বসানো হবে।

দক্ষিণ সিটিতে ১০টি অস্থায়ী হাটগুলো হলো: আফতাব নগর (ইস্টার্ন হাউজিং) ব্লক-ই, এফ, জি, এইচ, সেকশন ১ ও ২-এর খালি জায়গা, গোলাপবাগস্থ দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মার্কেটের পেছনের খালি জায়গা, হাজারীবাগ এলাকার ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি মাঠ-সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, পোস্তগোলা শ্মশানঘাট-সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, মেরাদিয়া বাজার-সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন উন্মুক্ত জায়গা, উত্তর শাহজানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজারের মৈত্রী সংঘের ক্লাব-সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, দনিয়া কলেজ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, ধূপখোলা ইস্ট অ্যান্ড ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা এবং লালবাগের রহমতগঞ্জ ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা।

এছাড়া করোনা সংক্রমণের বিষয়টি মাথায় রেখে এবার বাজার ব্যবস্থাপনায় নতুন কয়েকটি শর্ত যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে হাটে হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক সাবান রাখতে হবে। গায়ে জ্বর থাকলে কাউকে হাটে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। হাটে প্রবেশকারীকে গ্লাভস, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করে প্রবেশ করতে হবে। যত্রতত্র ময়লা–আবর্জনা না ফেলে একটি নির্দিষ্ট স্থানে রাখতে হবে।

হাটে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য পৃথক গেট করতে হবে। নির্ধারিত সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে হাটে প্রবেশ-বের হতে হবে। বয়স্ক, শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তিরা যাতে হাটে প্রবেশ করতে না পারেন, সেই বিষয়টি ইজারাদারদের নিশ্চিত করতে হবে।

এমআইআর/ওআ