ন্যাভিগেশন মেনু

রাজশাহী মেডিকেলে করোনায় ১২ দিনে ১১১ জনের মৃত্যু


ভারত সীমান্তসংলগ্ন বাংলাদেশের জেলাগুলোতে সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়েছে। বলা হচ্ছে ভারতীয় ধরন ‘ডেলটা’য় আক্রান্ত হচ্ছেন তারা। ওই জেলাগুলোতে এখন দৈনিক করোনা শনাক্তের হার ২৫ থেকে ৭০ শতাংশের মধ্যে।

স্থানীয়ভাবে সর্বাত্মক লকডাউন বা বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও তা পরিপূর্ণভাবে পালন করা হচ্ছে না ঝুঁকিপূর্ণ অনেক এলাকায়ই। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মৃত্যু হয়েছিল ১৫ জনের।

এ নিয়ে গত ১২ দিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ১১১ জন মারা গেছে। সীমান্তবর্তী জেলাগুলো নিয়ে উদ্বেগ বেড়েই চলছে। দেশে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন 'ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট' শনাক্ত হওয়ার পর সীমান্তের জেলাগুলোতে প্রতিদিন আক্রান্ত ও মৃত্যু বাড়ছে।

অন্য জেলাগুলোতেও ধরনটি ছড়িয়ে পড়ছে। সারাদেশেই সংক্রমণ বাড়ছে। সীমান্তবর্তী কয়েকটি জেলায় রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। শয্যা সংকটে রোগী ভর্তি করা সম্ভব হচ্ছে না কোনো কোনো হাসপাতালে। জেলা-উপজেলা শহরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। বিশেষ করে রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, জয়পুরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও যশোরের অবস্থা উদ্বেগজনক।

করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে সীমান্তের সাত জেলায় গত মে মাসে লকডাউনের সুপারিশ করেছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিটি। কিন্তু সাতক্ষীরা ছাড়া আর কোনো জেলায় এখনও লকডাউন দেওয়া হয়নি। সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় আগেই লকডাউন দেওয়া হয়। রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায়ও শুক্রবার বিকেল থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত সর্বাত্মক লকডাউন দেওয়া হয়েছে।

এদিকে করোনার সংক্রমণ বাড়ায় শুক্রবার মধ্যরাত থেকে রাজশাহীর সঙ্গে সব রুটের যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় আগের ঘোষিত লকডাউনের সঙ্গে আরও এক সপ্তাহ অর্থাৎ ১৭ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হয়েছে।

এমআইআর/এডিবি/