ন্যাভিগেশন মেনু

রৌমারীতে মানবেতর জীবন যাপন করছেন নকলনবীশরা


কুড়িগ্রামের রৌমারীর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে বালাম বই না থাকায় নকলনবীশদের পরিবার কষ্টে জীবন যাপন করছেন।

সংশ্লিট অফিস সুত্রে জানা যায় সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ১৪ জন নকলনবীশ দীর্ঘদিন যাবত কাজ করে আসছেন। তারা বালাম বইয়ের মাধ্যমে দলিল সংরক্ষণ করেন। এতে ক্রেতার কাছ থেকে দলিলের প্রতি পাতা ৪০ টাকা হারে নিলেও তাদের দেওয়া হয় ২৪ টাকা। বালাম বই লেখা শেষে মাসে ৫/৬ হাজার টাকা থাকলেও বাজারে উর্দ্ধগতি মূল্যে ডাল-ভাত খেতে চাইলেও তা সম্ভব হয় না।

বছরের ১২ মাসে ৩ মাস বালাম বই থাকে ও বাকি ৯ মাস বালাম বই অফিসে না থাকায় একদিকে তাদের কাজ না করে বসে থাকতে হয়। অপরদিকে ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের প্রায় সাড়ে ৭ হাজার দলিল বালাম বইয়ের অভাবে অফিসে ফাইলবন্দি করে রাখা হয়েছে। এতে নকলনবীশদের কাজ না থাকায় তারা কষ্টে দিন যাপন করছেন।

নকলনবীশরা জনগণের সম্পদ অবিনাশযোগ্য রেকর্ড সংরক্ষণের কাজে দায়িত্বে থাকা এমন কঠিন কাজের বিপরীতে তাদের মাসিক বা বিল-বেতন না থাকায় মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

২০১৬ এবং ২০২১ সালে সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে আইনমন্ত্রী নকলনবীশদের অতিশিঘ্রই রাজস্ব খাতে নেওয়া প্রতিশ্রুতি দিলেও অদ্যবধি বাস্তবায়ন করা হয়নি।

এ বিষয়ে নকলনবীশ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, 'সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস বাংলাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। ১৯৭৩ সালের জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা নকলনবীশদের চাকুরি জাতীয়করণ এবং ১৯৮৪ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার সানুগ্রহ সমর্থন বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।'

এম আর/এমআইআর/এডিবি/