ন্যাভিগেশন মেনু

সাবরিনার দ্বৈত এনআইডি: ইসির মামলার প্রতিবেদন ৩ মার্চ


প্রথম জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় জাতীয় পরিচয়পত্র নেওয়ায় অভিযোগে জেকেজি'র চেয়ারম্যান, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের বহিষ্কৃত চিকিৎসক সাবরিনা শারমিন হুসাইনের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদের আদালত এ আদেশ দেন। এদিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিলো। কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত নতুন দিন ধার্য করেন।

গত বছরের ৩০ আগস্ট বাড্ডা থানায় ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে ২০১০ সালের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইনের ১৪ ও ১৫ ধারায় মামলাটি করেন গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া।

মামলার এজহারের তথ্য অনুযায়ি, ‘সাবরিনা ২০০৯ সালে হালনাগাদের সময় মোহাম্মদপুর এলাকায় ভোটার হন। সেই এনআইডিতে তার নাম সাবরিনা শারমিন হোসেন, বাবার নাম সৈয়দ মুশাররফ হোসেন, মায়ের নাম কিশোয়ার জেসমীন, স্বামী আর এইচ হক, জন্ম তারিখ ২ ডিসেম্বর ১৯৭৮, পেশা সরকারি চাকরি এবং বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা পিসিকালচার হাউজিং সোসাইটি, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।’

তার দ্বিতীয় এনআইডির নিবন্ধন হয়েছে ২০১৬ সালে, ‘সেখানে তার নাম সাবরিনা শারমিন হুসেন, বাবার নাম সৈয়দ মুশাররফ হুসেন, মায়ের নাম জেসমিন হুসেন, স্বামী আরিফুল চৌধুরী, জন্ম তারিখ ২ ডিসেম্বর ১৯৮৩, পেশা চিকিৎসক এবং বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা বাড্ডার আনোয়ারা ল্যান্ডমার্ক, ঢাকা।’

ইসি সূত্র জানায়, তার দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র দুটিতে ভিন্ন তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। একটিতে বয়স পাঁচ বছর কমানো হয়েছে। দুটি এনআইডিতে স্বামীর নামও ভিন্ন। একাধিক স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা ব্যবহার করে ভোটার হয় সাবরিনা। বর্তমান তার দুটি এনআইডি-ই ব্লক করে দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস পরীক্ষার টেস্ট না করেই রিপোর্ট ডেলিভারি দেওয়ার অভিযোগে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীকে গত বছরের ১২ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়।

ওয়াই এ/এডিবি