ন্যাভিগেশন মেনু

সাবেক ডিআইজি পার্থ গোপাল বণিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ


সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সাবেক উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজনস) পার্থ গোপাল বণিকের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও মানিলন্ডারিং আইনে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত।

রাজধানীর ভুতের গলির বাসা থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় এ চার্জশিট দেওয়া হয়। 

সোমবার (৩১ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ দুনীতি দমন কমিশনের (দুদক) দেওয়া এই চার্জশিট গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে মামলার চার্জ গঠন শুনানির জন্য ঢাকার বিশেষ জজ-১০ আদালতে বদলি করেন।

আদালতে দুদকের কোর্ট ইন্সপেক্টর মো. আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে ২৪ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন এ চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ পার্থ গোপাল বণিককে আসামি করে এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, বরখাস্তকৃত কারা উপ-মহাপরিদর্শক পার্থ গোপাল বণিক সরকারি চাকরিতে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে ৮০ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেন। এসব টাকা গোপন করে তার নামীয় কোনো ব্যাংক হিসাবে জমা না রেখে বিদেশে পাচারের উদ্দেশে নিজ বাসস্থানে লুকিয়ে রেখে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারা, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৮ জুলাই রাজধানীর ধানমন্ডির ভূতের গলিতে পার্থ গোপাল বণিকের নিজ ফ্ল্যাট থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরদিন আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া দুদক পরিচালক মুহাম্মদ ইউছুফ বলেন, তার ঘোষিত আয়কর ফাইলে এ টাকার ঘোষণা নেই। আমাদের মনে হয়েছে এই টাকা অবৈধ আয় থেকে অর্জিত।

তবে ডিআইজি পার্থ দাবি করেছেন, ৮০ লাখ টাকা তার বৈধ আয় থেকে অর্জিত। এর মধ্যে ৩০ লাখ টাকা শাশুড়ি দিয়েছেন। বাকি ৫০ লাখ টাকা সারাজীবনের জমানো।

এডিবি/